একটা নয় একসঙ্গে কয়েকটা যুগের অবসান। গোটা দেশকে কাঁদিয়ে গতকাল না ফেরার দেশে গিয়েছেন ভারতীয় সঙ্গীতের কিংবদন্তি লতা মঙ্গেশকর। তাঁর গান, তাঁর শিল্পী সত্ত্বা তাঁর গানের সম্ভার প্রত্যেক ভারতীয় এবং সংগীত প্রেমীদের কাছে অনুপ্রেরণা। একাধিক জাতীয় পুরস্কার, পদ্মভূষণ, দাদা সাহেব ফালকে, ভারত রত্ন সম্মান রয়েছে তাঁর প্রাপ্তির ঝুলিতে। সব কিছু ছেড়ে গতকাল এই ৯২ বয়সী শিল্পী চির বিদায় নিয়েছেন পৃথিবী থেকে। কথায় আছে শিল্পের কখনও মৃত্যু হয়না তাই এই মহান গায়িকার সৃষ্টি সম্ভার সবসময় বিদ্যমান থাকবে প্রত্যেক দেশবাসীর মনে।
অবশেষে ২৭ দিনের লড়াই শেষ লতাজির। বিগত কিছুদিন যাবৎ ভেন্টিলেটশনে ছিলেন সুর সম্রাজ্ঞী। মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যন্ডি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সেখানেই গতকাল জীবন যুদ্ধে হার মানলেন লতা জি। বাঁচতে খুব ভালোবাসতেন তিনি। এর আগেও একবার কঠিন ব্যাধির সঙ্গে লড়াই করে ফিরেছিলেন তিনি। তবে এবারে আর ফেরা হল না। রেখে গেলেন তাঁর অমুল্য সৃষ্টি সম্ভার। গায়িকা থেকে মহাগায়িকা হওয়ার যাত্রাপথে একাধিক রেকর্ড তৈরি করেছেন তিনি। রয়েছে প্রচুর মাইলফলক।
১৯৪২ সালে একজন গায়িকা হিসেবে তাঁর জার্নি শুরু হয়। তারপর ১৯৬০ এর দশকের মধ্যেই ৩০ হাজার গান রেকর্ড করে ফেলেছিলেন। ভারতবর্ষে একাধিক ভাষায় তিনি গান করেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৪ টি ভাষায় ৫০ হাজারটি গান রয়েছে তাঁর। আর এই কারণেই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও নাম তুলে ফেলেছিলেন লতা মঙ্গেশকর। তবে এই মহান শিল্পীর শেষ ইচ্ছে ছিল পরের জন্মে তিনি যেন আর লতা মঙ্গেশকর হিসেবে জন্ম না নিতে পারেন। কারণ লতা মঙ্গেশকরের জীবনের কষ্ট শুধু লতা জিই জানেন। বলাই বাহুল্য এক সঙ্গে একাধিক যুগের হল অবসান। সংগীত মহলে সৃষ্টি হল এক মহা শূন্যতা।
Share your comments