মিলল দোকান খোলার ছাড়পত্র! ৪ ই মে থেকে গ্রীণ ও অরেঞ্জ জোনে বিধিনিষেধ মেনে খুলছে প্রয়োজনীয় দোকান

২৩ শে মার্চ সন্ধ্যা থেকে রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ২৫ শে মার্চ থেকে সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করেন ১৫ ই এপ্রিল পর্যন্ত। পরবর্তীতে তা বাড়িয়ে ৩ রা মে (আরও ১৯ দিনের জন্য) করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার রাজ্যে চলমান লকডাউন অব্যাহত থাকার ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, বিশেষজ্ঞ ও চিকিত্সকরা মতামত জানিয়েছেন যে, কোভিড -১৯ সংক্রমণ রুখতে জারি করা নিষেধাজ্ঞাগুলি মে মাসের শেষ অবধি কার্যকর থাকবে।

KJ Staff
KJ Staff

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার রাজ্যে চলমান লকডাউন অব্যাহত থাকার ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, বিশেষজ্ঞ ও চিকিত্সকরা মতামত জানিয়েছেন যে, কোভিড -১৯ সংক্রমণ রুখতে জারি করা নিষেধাজ্ঞাগুলি মে মাসের শেষ অবধি কার্যকর থাকবে।

তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের আদেশ অনুসারে, কিছু সতর্কতামূলক ও সামাজিক দূরত্বের ব্যবস্থা গ্রহণের পরে, অপরিহার্য পণ্যগুলিতে লেনদেনের জন্য দোকান খোলা এবং গ্রীণ জোনে বাস ও ট্যাক্সি পরিষেবা চালু করার মতো কয়েকটি ছাড়ের ঘোষণা করেছিলেন।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, তাঁর সরকার রাজ্য থেকে আগত রাজস্থানের কোটার কোচিংয়ে আটকে পড়া ২,৫০০-৩,০০০ শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেছে এবং তিন দিনের মধ্যে তাদের পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, ‘এই সঙ্কটজনক মুহূর্ত কখন শেষ হবে, তা কেউ জানে না। বেশিরভাগ দেশ ইতিমধ্যে মে মাসের শেষ এবং জুনের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে। আমাদের দেশে বিশেষজ্ঞ ও চিকিত্সকদের মতানুযায়ী, কোভিড -১৯ সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞাগুলি মে মাসের শেষ অবধি অব্যাহত রাখা উচিত। কারণ, জুলাই ও আগস্টে বর্ষাকালে এটি আবার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখাতে পারে। কেন্দ্র ঘোষণা করার আগে আমরা লকডাউন ঘোষণা করেছিলাম। এখন অবধি পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি, তাই সবকিছুকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। সুতরাং আরও কিছুদিনের জন্য, আমাদের নিষেধাজ্ঞাগুলি অনুসরণ করতে হবে এবং লকডাউন চলবে’।

২৩ শে মার্চ সন্ধ্যা থেকে রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ২৫ শে মার্চ থেকে সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করেন ১৫ ই এপ্রিল পর্যন্ত। পরবর্তীতে তা বাড়িয়ে ৩ রা মে (আরও ১৯ দিনের জন্য) করা হয়।

মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে ৪ ই মে থেকে গ্রীণ ও অরেঞ্জ জোনে বিধিনিষেধ লাঘব হবে এবং প্রয়োজনীয় কিছু দোকান খোলা হবে। এর মধ্যে রয়েছে, ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য, স্টেশনারি আইটেম, বই, পেন্টস, হার্ডওয়্যার পণ্য, লন্ড্রি, চা এবং পান বিক্রি করার দোকান। তবে তিনি এও বলেন, "পুলিশ কোন কোন দোকান খোলা হবে তা জরিপ করবে। হকারদের মার্কেট এবং ফুটপাথের দোকানগুলি খোলা হবে না। গ্রীণ জোনে কারখানাগুলি খুলতে পারে, তবে তাদের সব প্রোটোকল মেনে চলতে হবে। তবে নন-কনটেনমেন্ট জোনগুলিতে দোকান খোলা রাখা নিয়ে গত সপ্তাহে কেন্দ্রের আদেশের বিষয়ে আমরা এখনও স্পষ্টতা পাইনি। এটি পেলে আমরা আরও কিছু ক্ষেত্রে ছাড় বাড়ানোর বিষয়ে পদক্ষেপ নেব।"

পরিবহনে সীমাবদ্ধতা –

গ্রীণ জোনে বাস চলাচল করবে তবে একসাথে ২০ জনের বেশি যাত্রী বহন করবে না এবং ট্যাক্সির ক্ষেত্রে তিনজনের বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে না।

বক্তব্যের শেষে তিনি বলেন, কিছু লোক আছেন যারা গুজব ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন যে ভর্তি হওয়ার জন্য কলকাতার হাসপাতালে কোনও বেড নেই। কলকাতায় এখনও কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য ৭৯০ টি বেড প্রস্তুত রয়েছে। তাই অযথা আতঙ্কিত হবেন না। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যৌথভাবে সকলের সহায়তা করার চেষ্টা করে চলেছে অবিরামভাবে।

স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)

Published On: 30 April 2020, 08:35 PM English Summary: After the lockdown, several shops were allowed to open in West Bengal from May 4

Like this article?

Hey! I am KJ Staff. Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters