আমরা অনেকেই জানি রাষ্ট্রসঙ্ঘ আগামী নতুন বছরকে অর্থাৎ ২০২৩ সালকে আন্তর্জাতিক মিলেট ইয়ার বলে ঘোষণা করেছে। এ-কারনেই আগামীদিনে জোয়ার, রাগি ও বাজরা দিয়ে তৈরি খাবার খাওয়ার চল ফেরাতে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই খুশিতে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর মঙ্গলবার রাজ্যসভা ও লোকসভার সাংসদদের জন্য বিশেষ মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছেন। এই বিশেষ মধ্যাহ্নভোজের পাতে থাকবে মিলেট দিয়ে তৈরি একাধিক খাবার। এই মধ্যাহ্নভোজের উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মিডিয়ার রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারের মধ্যাহ্নভোজের মেনুতে থাকছে রাগি ও জোয়ারের রুটি। বাজরা ও জোয়ারের খিচুড়ি, থাকবে রাগি দিয়ে তৈরি ইডলি ও দোসা থাকছে। শেষ পাতে বাজরার তৈরি ক্ষীরও পরিবেশন করা হবে। এই সব কিছু তৈরি করার জন্য কর্নাটক থেকে বিশেষ শেফ আনা হচ্ছে। এই আয়োজনের একটাই উদ্দেশ্য আগামীদিনে মিলেট খাওয়ার চল ফেরানো।
আরও পড়ুনঃ Duare Sarkar: ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের জয়জয়কার! মিলল Digital India পুরস্কার
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে মিলেটকে পুষ্টিকর শস্য ঘোষিত করেছিল ভারত সরকার। এছাড়াও জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা মিশন (NFMS)-এর অধীনে ১৪টি রাজ্যের ২১২টি জেলায় মিলেট পুষ্টিকর শস্য হিসাবে প্রচার করা হচ্ছে। শুধু প্রচার না, মিলেট দেওয়া হয়েছে জেলা গুলিতে। জোয়ার, বাজরা, রাগি প্রভৃতি কয়েকটি ক্ষুদ্র দানাশস্য পৃথিবীর মধ্যে ভারতেই সবচেয়ে বেশি উৎপন্ন হয়। সাধারণত দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতের গরিব অধিবাসীরা খাদ্যশস্য হিসেবেই এই ফসলগুলি বেশি ব্যবহার করে।
ভারতে মিলেট উৎপাদক রাজ্যঃ
মহারাষ্ট্রঃ মিলেট উৎপাদনে ভারতে শীর্ষ স্থানাধিকারী রাজ্য। ৩০.০২ লক্ষ হেক্টর জমিতে ২৬.৭০ লক্ষ টন জোয়ার উৎপাদিত হয়।
কর্ণাটকঃ মিলেট উৎপাদনে ভারতের দ্বিতীয় স্থানাধিকারী রাজ্য। ১০.০২ লক্ষ হেক্টর জমিতে ১২.৪০ লক্ষ টন জোয়ার উৎপাদিত হয়।
মধ্যপ্রদেশঃ মিলেট উৎপাদনে ভারতে তৃতীয় স্থানাধিকারী রাজ্য। ৩ লক্ষ হেক্টর জমিতে ০৬.১০ লক্ষ টন জোয়ার উৎপাদিত হয়।
এছাড়াও রাজস্থানের ভারতপুর, তামিলনাড়ুর মাদুরাই, অন্ধ্রপ্রদেশের হায়দ্রাবাদ ও নিজামাবাদেও মিলেট উৎপাদিত হয়।
Share your comments