প্রকৃতি ওপর মানুষের একাধিক কর্মকাণ্ডের ফলে যখন প্রকৃতি তার স্বাভাবিক অবস্থার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে তখনই দূষণের সৃষ্টি হয়। দূষণ বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেমন ধরুন-জল দূষণ, মাটি দূষণ, বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ ইত্যাদি। তবে বর্তমান সময়ে বিশ্বে প্রাণহানির অন্যতম কারন হয়ে উঠেছে বায়ু দূষণ। বায়ু দূষণের কথা বলতে গেলে প্রথমেই চিনের কথা বলতে হয়। কারন চিনে বায়ু দূষণ এতটাই মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে গর্ভস্থ ভ্রূণও রক্ষা পাচ্ছে না। এক সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, চিনে বছরে ৬৪ হাজার ভ্রুনের মৃত্যু হয় বায়ু দূষণের প্রভাবে।
বায়ুদূষণ ও তার প্রভাব নিয়ে চিনা সংস্থা দক্ষিণ চিন মর্নিং পোস্ট (SCMP) একটি সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। যেখানে দেখানো হয়েছে বায়ু দূষণের কারনে গর্ভের মধ্যেই মৃত্যু হয় ৬৪ হাজার ভ্রুনের। চিনে রাজধানী শহর বেজিং গত ১০ বছরে বায়ু দূষণের জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে। এমনই তথ্য রয়েছে রিপোর্টে। শিশু মৃত্যুর নিরিখে চিন চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ জলপাইগুড়ি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্যোগে শুরু হল তিনদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ শিবির
এই বিষয়ে পেকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, গর্ভস্থ ভ্রূণের উপর বায়ুদূষণের প্রভাব ঠেকাতে হু-র তরফে বৈঠক করা হয়েছে। এবং ভ্রুনের মৃত্যু ঠেকাতে চিন সরকার বিশেষ পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেই খবর। এছাড়াও জানান, চিন সহ ১৩৭ টি দেশের বায়ুর মান অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে (ভালোর দিকে)। ২০২০ সালে প্রথম ভ্রুনের মৃত্যু ঠেকাতে বিশেষ উদ্যোগ নেয় চিন সরকার। SCMP-র সমীক্ষা রিপোর্টের অন্যতম কর্তা জুহু তোং বলেছেন, গত বছর থেকে বায়ু দূষণের পরিমান কিছুটা কম হওয়ায় ভ্রুন হত্যাও কিছুটা কমেছে।
আরও পড়ুনঃ IFFCO-MC's Takibi - কৃষকদের জন্য একটি দুর্দান্ত কীটনাশক
Share your comments