
কৃষিজাগরন ডেস্কঃ উত্তরবঙ্গের—কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং—জেলা গুলোতে জুনের মধ্য থেকে বর্ষার অনুপস্থিতি ও তীব্র রৌদ্রের কারণে আমন ধানের বীজতলা শুকিয়ে যাচ্ছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ ৩৫ ডিগ্রি থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। । জলের অভাবে উঁচু জমিতে ধান চারা বুনতে পারছে না কৃষকরা। এদিকে নিচু জমিতেও জল নেই।।
গভীরতা বিশ্লেষণ
-
দুর্বল মৌসুমী বায়ু ও অনাবৃষ্টি
বর্ষাকাল সঠিক সময়ে শুরু না হওয়ায় জমি শুকিয়ে যাচ্ছে, ফসল রোপণের অযোগ্য হয়ে উঠছে। -
জেলাগুলোর ক্ষতচিহ্ন
কোচবিহার (২.১১ লক্ষ হেক্টর), আলিপুরদুয়ার (১.০৩ লক্ষ), জলপাইগুড়ি (১.২০ লক্ষ), দার্জিলিং/শিলিগুড়ি (১১ হাজার) – সব জায়গায় বীজতলায় আগেই শুকিয়ে গিয়েছে, নিচু জমিতেও জল সংকটে পড়েছে। -
চারা বিবর্ণ হয়ে হলুদ হয়ে গেছে
রোপণ হওয়া চারা, মাটির আর্দ্রতা হারাচ্ছে, ফলে হলুদ হয়ে যাচ্ছে। -
কৃষি ও আবহাওয়ার উদ্বেগ
কৃষি দপ্তর জানাচ্ছে, ১০–১২ দিনের মধ্যে ভারী বর্ষা না হলে ধান উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আবহাওয়া দপ্তর দার্জিলিং, শিলিগুড়িতে মৌসুমি বায়ুর অক্ষরেখা নিচু আছে, ভারী বৃষ্টি সাথে নিয়ে আসছে না—বিশেষ করে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের বর্তমান অবস্থান ।
একজন কৃষক বলেন, “জলের অভাবে গ্রামের প্রত্যেকের ধানখেতের মাটি শুকিয়েছে। ধানচারা হলুদ হচ্ছে। বৃষ্টি না হলে সর্বনাশ হয়ে যাবে।”
আরও পড়ুনঃ পশ্চিমবঙ্গে ধানচাষ: আধুনিক পদ্ধতি ও লাভজনক কৌশল
বৃষ্টি ছাড়া পরিস্থিতি মোকাবিলার বিকল্প কোনও পথ নেই। একই আর্তি চাষিদের গলায়। আলিপুরদুয়ারে ১,০৩,০০০ হেক্টর জমির অর্ধেকেই ধানের চারা রোপণ করা হয়নি। রোপণকৃত চারা হলদে হয়ে যাচ্ছে। কৃষিকর্তারা বলছেন, “বৃষ্টি ছাড়াই উপায় নেই।” স্থানীয় চাষি জানিয়েছেন, “ধানখেতের মাটি পুরোপুরি শুকিয়ে গিয়েছে। বৃষ্টি না হলে সব নষ্ট হয়ে যাবে।” আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, মৌসুমী বাতাস এখনো পুরোপুরি সক্রিয় হয়নি। কোনো বড় বা ধারাবাহিক বর্ষা এখনও অনিশ্চিত অবস্থায় রয়েছে।
Share your comments