ধান চাষকে আধুনিক, বিজ্ঞানসম্মত ও লাভজনক করে তুলতে উত্তর ২৪ পরগনা কৃষি দপ্তর চাষিদের হাতে পরীক্ষামূলকভাবে তুলে দিল বীজতলা তৈরির জন্য ট্রে এবং ধান রোপণের অত্যাধুনিক মেশিন। হাবড়া দুই নম্বর ব্লকের বেড়াবেড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঈশ্বরীগাছা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যন্ত্রের মাধ্যমে আমন ধানের চারা রোপণ প্রদর্শন এবং আলোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার বলেন মেশিনের ব্যবহারে চাষে গতি আসবে, চাষিদের লাভ বাড়বে, গ্রামীণ বেকাররা কৃষিকাজে জীবিকা খুঁজে পাবেন, চাঙ্গা হবে গ্রামীণ অর্থনীতি।
জেলার সহ কৃষি অধিকর্তাদের পরামর্শমতো চাষিরা ট্রের উপর এক ইঞ্চি উঁচু করে জৈবসার সহ এঁটেল মাটি দিয়েছেন। এর পর ট্রেগুলি বাড়ির উঠোনে রেখে ড্রাম সিডার মেশিনের সাহায্যে তাতে শোধন করা সার্টিফায়েড স্বর্ণ সাবওয়ান বীজ বোনা হয়। বীজের উপর এক ইঞ্চি ঝুরঝুরে মাটি ছড়িয়ে দিতে হবে। প্রতিদিন সকাল-বিকেল জল স্প্রে করতে হবে। এভাবে আট দিনে ছয় ইঞ্চি বীজতলা পাওয়া যাচ্ছে। বীজতলা ১৮ দিনের হলে রোপণের জন্য ব্যবহার করতে হবে। বীজতলা কম্বলের মতো গুটিয়ে মাঠে নিয়ে গিয়ে রোপণ মেশিয়ে বসিয়ে দিতে হবে। পাওয়ার ট্রিলারের মতো মেশিনটি চালু করে রোপণ করতে হবে। এক বিঘা ধানের জমি এক ঘণ্টাতেই রোপণ করা যাবে। ফার্মার্স ক্লাবে একটি রোপণ মেশিন থাকলে অনেক কৃষক তা ব্যবহার করতে পারবেন। আবার কোনও চাষি যদি ওই রোপণ মেশিন কিনতে চান, তা হলে সরকারি ভর্তুকি পাবেন। ভর্তুকির টাকা কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হবে। উত্তর ২৪ পরগণা জেলার হাবড়ার এক ও দুই নম্বর ব্লক, বাগদা, বনগাঁ, গাইঘাটা ও হাসনাবাদ ব্লকে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেতে ধানের বীজতলা এবং রোপণ মেশিনের ব্যবহার শুরু হয়েছে।
রুনা নাথ,
কৃষি জাগরণ।
Share your comments