কৃষিজাগরণ ডেস্কঃ কার্টুন কান্ডে অবশেষে অব্যাহতি পেলেন অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র। বুধবার আলিপুরের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক ওই মামলা থেকে অম্বিকেশের অব্যাহতির নির্দেশ দিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্টুন এঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। তারপরই গ্রেফতার করা হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্য়াপক অম্বিকেশ মহাপাত্রকে। অবশেষে ১১ বছর পর সেই মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন অম্বিকেশ।
২০২১-এর ১৪ সেপ্টেম্বর, আলিপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে ব্যঙ্গচিত্র সংক্রান্ত এই মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন জানান অম্বিকেশ মহাপাত্র। কিন্তু, সেই আবেদন খারিজ করে দেন আলিপুরের সিজেএম। এরপর অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র নতুন করে আলিপুর আদালতের অ্যাডিশনাল সেশন জাজের এজলাসে আবেদন জানান।
আরও পড়ুনঃ বাংলা শিখতে চান রাজ্যপাল,হাতেঘড়ি হবে সরস্বতী পুজোয়
সেই মামলায় রায়ে বলা হয়েছে, ২০১২ সালে অম্বিকেশ মহাপাত্রর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছিল, সেই মামলা থেকে তাঁকে নিষ্কৃতি দেওয়া হল। আদালতের রায়ের এই কপি ফেসবুকে পোস্ট করেন অধ্যাপক। তিনি ফেসবুকে লেখেন, ১১ বছর পরে ব্যঙ্গচিত্রকাণ্ডের ফৌজদারি মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেলাম। রাজ্য পুলিশ, প্রশাসন, শাসকদল এবং দুষ্কৃতীদের বাধা সত্বেও এই জয়। এটা গণতন্ত্রের প্রতি দায়বদ্ধতার জয়।
আরও পড়ুনঃ আজ শিক্ষামন্ত্রী–উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস
প্রশঙ্গত , ২০১২ সালের ১২ এপ্রিল 'মুকুল...দুষ্টু লোক ভ্যানিশ!' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায় এবং দীনেশ ত্রিবেদীর ছবি দেওয়া একটি ব্যঙ্গচিত্র এঁকে বিপাকে পড়েছিলেন অম্বিকেশ মহাপাত্র । সোশাল মিডিয়ায় এই ব্যঙ্গচিত্র শেয়ার করার পরই রাতারাতি FIR এবং পরবর্তীতে গ্রেফতার করা হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপককে। ১১ বছর ধরে তাঁর বিরুদ্ধে সেই মামলা চলেছিল।
তবে কার্টুনকাণ্ডে অম্বিকেশ মহাপাত্রর গ্রেফতারির প্রতিবাদে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে।অবশেষে মিলল রেহাই। ফেসবুকে তিনি লেখেন,প্রায় ১১ বছর পর ব্যঙ্গচিত্র-কাণ্ডের ফৌজদারি মামলা থেকে নিষ্কৃতি মিলল। রাজ্যের সাধারণ প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, শাসকদল এবং দুষ্কৃতীদের শত বে-আইনি এবং অসাংবিধানিক বাধা সত্ত্বেও। এই জয় গণতন্ত্রপ্রিয় নাগরিকের গণতন্ত্রের প্রতি দায়বদ্ধতার জয়।
Share your comments