বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, এ মুহূর্তে বিশ্বে ফলের উৎপাদন বৃদ্ধির সর্বোচ্চ হারের রেকর্ড বাংলাদেশের। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) হিসাবে বছরে সাড়ে ১১ শতাংশ হারে বাংলাদেশে বাড়ছে ফল উৎপাদন।
কাঁঠাল উৎপাদনে এখন বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়, আমে সপ্তম, পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম, পেঁপে উৎপাদনে চতুর্দশ অবস্থানে রয়েছে। মৌসুমী ফল উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ।
১৬ জুন ‘জাতীয় ফল মেলা’ সামনে রেখে সোমবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশের ফল উৎপাদনের সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন তিনি।
বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ২০ বছর আগে আম আর কাঁঠাল ছিল দেশের প্রধান ফল। এখন বাংলাদেশে ৭২ প্রজাতির ফলের চাষ হচ্ছে, যা আগে ৫৬ প্রজাতির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।
আরও পড়ুনঃ ঋণ নিয়ে চাষ,বন্যায় সব ফসলি তলিয়ে গিয়ে সর্বশান্ত হাজার হাজার বর্গচাষি
কিন্তু এই উৎপাদনও দেশের প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়। দৈনিক যেখানে মাথাপিছু ২০০ গ্রাম ফলের চাহিদা রয়েছে, সেখানে যোগান রয়েছে ৮৫ গ্রামের।
তবে ফল উৎপাদন বাড়ায় বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু দানা জাতীয় শস্য গ্রহণের পরিমাণ কমেছে এবং মাথাপিছু ফল গ্রহণের পরিমাণ বেড়েছে। ২০০৬ সালে মাথাপিছু ফল গ্রহণের হার যেখানে ৫৫ গ্রাম ছিল, তা ২০১৮সালে ৮৫ গ্রাম হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৮-০৯ সালে দেশে ফলের উৎপাদন ছিল প্রায় ১ কোটি টন, আর এখন প্রায় ১ কোটি ২২ লাখ টন ফলের উৎপাদন হচ্ছে। গত ১২ বছরে ফলের উৎপাদন বেড়েছে ২২ শতাংশ।
তার সংযোজন, বর্তমান সরকার এখন সকল মানুষের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য নিশ্চিত করতে কাজ করছে। এক্ষেত্রে ফল ও ফলদ বৃক্ষের গুরুত্ব অপরিসীম।
আরও পড়ুনঃ পদ্মা থেকে জল এনে সেচ কার্যক্রম করা হবে বরেন্দ্র অঞ্চলে
দেশি ফলের পাশাপাশি বিদেশি ফলের চাষ আস্তে আস্তে বাড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের পাহাড়ি অঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের অনেক জায়গায় কাজুবাদাম ও কফি চাষের সম্প্রচারণ হচ্ছে।
Share your comments