পটল ভারতে খুব জনপ্রিয় একটি সবজি। অনেক কৃষক এটির চাষ করে ভাল লাভ করছেন। সাধারণত, পটলের চাষ সারা বছর জুড়ে দেখা যায়। মূলত এটি বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, পূর্ব ও উত্তর প্রদেশের প্রধান ফসল, যদিও রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, গুজরাট, আসাম এবং মহারাষ্ট্রেও এর চাষ হয়। পটল স্বল্প খরচে ভাল ফলনের পাশাপাশি স্বাস্থ্যের পক্ষেও উপকারী।
স্বাস্থ্যে উপকারিতা -
বৃদ্ধ বয়সে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যাওয়ায় শরীর ভেতর থেকে দুর্বল থাকে। ফলে যে কোন রোগ সহজেই শরীরে সংক্রামিত হতে পারে। পটলে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরের জন্য খুবই উপকারী, যা বার্ধক্যে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে এবং অনেক রোগ নিরাময় করে। এছাড়া শুধু বার্ধক্যেই নয়, সকল বয়সের জন্যই এটি আমাদের পক্ষে উপকারী। মুখমণ্ডলের ত্বকের কুঁচকে যাওয়া ও বলিরেখা অপসারণেও সহায়ক পটল।
পটল চাষ সম্পর্কিত কিছু তথ্য-
জলবায়ু এবং জমি -
উষ্ণ জলবায়ু পটল চাষের জন্য উপযুক্ত। শীতল আবহাওয়া এর চাষে প্রতিকূল। বেলে বা দোআঁশ মাটিতে পটল চাষ ভালো হয়। তবে উন্নত নিকাশি ব্যবস্থা থাকতে হবে।
আবাদ -
উঁচু জমিতে এর চাষে অধিক ফলন হয়। জমিতে ভালো করে লাঙল দিয়ে জমি প্রস্তুত করতে হবে। একটি উদ্ভিদ থেকে অপর উদ্ভিদের ব্যবধান রাখতে হবে ১.৫ মিটার। উন্নত ফলনের জন্য গোবর সার ব্যবহার করতে পারেন।
সেচ কার্য -
এর চাষে খুব বেশি সেচ দেওয়ার দরকার পড়ে না। রোপণের পরে আর্দ্রতা অনুযায়ী সেচ প্রদান করতে হবে। প্রথম সেচ ৮-১০ দিনের মধ্যে করা যেতে পারে। শীতকালে ২০ দিনের ব্যবধানে সেচ দেওয়া উচিত।
শস্যচ্ছেদন –
পটলের বেশি ফলনের জন্য এর আগাছা সময়মতো ছাঁটাই করতে হবে। ফসল কাটার সর্বোত্তম সময় নভেম্বর-ডিসেম্বর।
স্বপ্নম সেন
Share your comments