বিশ্বজুড়ে এখন একটাই ত্রাস, আর তা হল নভেল করোনা বা কোভিড -১৯। ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ২১ দিনের লকডাউনে বিপর্যস্ত অনেকেই, বিশেষ করে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষেরা। এই বিপর্যয়ে সাহায্যের জন্যে উত্তরপ্রদেশে সিএম যোগী আদিত্যনাথ ‘শ্রমিক ভরণপোষণ যোজনা’ প্রকল্প প্রচলন করেছেন। এই যোজনার আওতায় তিনি ডিবিটির মাধ্যমে ২০ লাখের বেশি দিনমজুরদের অ্যাকাউন্টে এক হাজার টাকার প্রথম কিস্তি ট্রান্সফার করেছেন।
শ্রমিক ভরণ-পোষণ যোজন কী?
সিএম যোগী বলেন, “রাজ্য সরকার দিনমজুর ও খুচরা বিক্রেতাদের ত্রাণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। সব মিলিয়ে ৩৫ লক্ষ সুবিধাভোগী প্রত্যক্ষ ট্যাক্সের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা পাবেন। এই প্রকল্পের আওতায় রাস্তার বিক্রেতারা, রিকশা চালক, ই-রিকশা চালক ও কুলিরা উপকৃত হবেন।
শ্রমিক ভরণ-পোষণ প্রকল্পের আওতাধীন সুবিধা:
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রেশন কার্ডধারকদের, দরিদ্রদের, পেনশনভোগীদের, পিডব্লিউডি পেনশনভোগীদের, নির্মাণকর্মীদের এবং দিনমজুর ও শ্রমিকদেরও নিখরচায় রেশন সরবরাহ করা হচ্ছে সরকার। এর আওতায় ২০ কেজি গম এবং ১৫ কেজি চাল তাদের সরবরাহ করা হচ্ছে।
এই উপলক্ষে, সিএম যোগী চার শ্রমিককে প্রত্যেকে এক হাজার টাকার প্রতীকী চেক বিতরণ করেন। এই প্রকল্পটির প্রয়োজনীয়তা হ'ল কারণ করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে দরিদ্র লোকেরা সামাজিক দূরত্ব এবং বাড়িতে কোয়ারেনটিনের কারণে তাদের জীবিকা নির্বাহের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে।
তবে যাঁরা কোনও প্রকল্পের আওতাভুক্ত নন, তাঁদের জন্যও ১০০০ টাকা করে সরবরাহ করা হবে এবং এর সাথে সমস্ত জেলা সদরে পর্যাপ্ত পরিমাণ তহবিল পাঠানো হবে। এই সংবেদনশীল সময়ে আর্থিক সহায়তার জন্য এগিয়ে আসা অন্যান্য সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রীদের অবদান মনে রাখার মতো। এনাদের মধ্যে বিশেষ উল্লেখ্য কয়েকজন হলেন, আমেঠির সাংসদ স্মৃতি ইরানি তার এমপিএলএডি তহবিল থেকে আমেঠি ডিএমকে এক কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। ডেপুটি সিএম কেশব মৌর্যও তাঁর উন্নয়ন তহবিল থেকে এক মাসের বেতন এবং এক কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। এছাড়াও অন্যান্য বিধায়করাও পরিস্থিতি সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য অর্থ অনুদান দিয়েছেন।
স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)
Share your comments