পরিবার ছিল দরিদ্র। দুবেলা খাবার পেতে তাদের হিমশিম খেতে হয়েছে। সেই অবস্থা থেকে কমনওয়েলথ গেমসে স্বর্ণপদক জয়ের স্বপ্ন দেখাকে অনেকেই হয়তো বামন বলে চাঁদ ধরার মতোই বলবেন! হাওড়া জেলার পাঁচলার দেউলপুরের বাসিন্দা অচিন্ত্য শিউলি তা সম্ভব করেছেন।
অচিন্ত্য শিউলির বয়স ২০ বছর। পুরুষদের ৭৩ কেজি ভারোত্তোলন বিভাগে স্বর্ণপদক জিতেছেন অচিন্ত্য শিউলি। স্ন্যাচ ক্যাটাগরিতে অচিন্ত্য 143 কেজি তুললেন। এছাড়া ক্লিন অ্যান্ড জার্ক ক্যাটাগরিতে ১৭০ কেজি ওজন তুলে দেশের হয়ে নতুন ইতিহাস গড়লেন তিনি। তিনি মোট 313 কেজি উত্তোলন করে স্বর্ণপদকও জেতেন।
সোনা জয়ের পর অচিন্ত্য বলেন, “আমি এই পুরস্কারটি আমার বড় ভাই এবং আমার কোচকে উৎসর্গ করতে চাই। কারণ, আমার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে তিনি আমার জন্য সবকিছু করেছেন। আমার বড় ভাই নিজে ভারোত্তোলন করতেন। কিন্তু আমার দিকে তাকিয়ে সে সব ছেড়ে দিয়েছে।“
আরও পড়ুনঃ 'বাংলাকে ভাঙতে গেলে আগে সত্যিকারের সিংহের সঙ্গে লড়!' চ্যালেঞ্জ মমতার
হাওড়ার দেওলপুর গ্রামের অচিন্ত্য 12 বছর বয়সে স্থানীয় জিমে যোগ দেন। কিন্তু সেলাইয়ের কাজ ছাড়েননি। তার দাদা ভারোত্তোলন করতেন। পরিবারের ভরণপোষণের জন্য নিজের ইচ্ছাকে ত্যাগ করতে হবে। অচিন্ত্যের দাদাও দর্জির কাজ করেন। অচিন্তাও তার কাছে কাজ শিখেছে। যদি তাই হয় ভারোত্তোলনের জন্য সময় বের করতে পারে? কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম সোনা জেতার পর এমনটাই বললেন অচিন্ত্য। জিমে যোগদানের পর জীবন কঠিন ছিল। প্রশিক্ষণ, স্কুল, সঙ্গে সেলাই কাজ. দিনে তিন বেলা খাবার পাওয়া কঠিন ছিল। বাবা বেঁচে থাকতে মাকে কোনো কাজ করতে হয়নি। বাবার মৃত্যুর পর মাকেও সিমস্ট্রেসের কাজ করতে হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ জেলায় জেলায় গ্রামে গ্রামে ‘কৃষিকথা’, কৃষকরাই হবেন এবার সাংবাদিক
Share your comments