দেশে রবি মৌসুমে কৃষকরা ব্যস্ত ফসল বোনার কাজে। অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বৃষ্টি এবং কিছু কিছু জায়গায় অসময়ে বৃষ্টির কারণে বিজ বপনের কাজ ব্যাহত হয়েছে। এই কারণে রবি মৌসুমের প্রধান ফসল গমের চাষ গত বছরের তুলনায় কম এবং ডাল ও তৈলবীজের উৎপাদন বেড়েছে। যদিও গত বছরের তুলনায় রবি মৌসুমে গম চাষের পরিমাণ বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে ।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে প্রায় ২৪৮.৬৭ লাখ হেক্টর জমিতে গম চাষ করা হয়েছে। গত বছরে একই সময়ে ২৪৫.৭ লাখ হেক্টর জমিতে গম চাষ সম্পন্ন হয়েছিল। পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট যে এবার ৬ লাখ হেক্টর জমিতে কম চাষ করা হয়েছে।
পাঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরপ্রদেশ এবং আসামের মতো রাজ্যগুলিতে গম সবচেয়ে বেশি চাষ করা হয়েছে । যেখানে বিহার, গুজরাট, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, হিমাচল প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটক এবং উত্তরাখণ্ড এর মত রাজ্যগুলিতে তুলনা মুলক কম চাষ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কৃষকদের ধান চাষ করতে না করলেন মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডি
১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে ১২৯ দশমিক ৭৪ লাখ হেক্টর জমিতে ডাল চাষ করা হয়েছে। যা গত বছরে একই সময়ের চেয়ে ৪৬ হাজার হেক্টর বেশি। গত বছরে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে ১২৯ দশমিক ২৮ লাখ হেক্টর জমিতে ডাল চাষ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ পূর্ন সামরিক মর্যাদায় শেষ কৃত্য সম্পন্ন হবে বিপিন রাওয়তের
মহারাষ্ট্র, গুজরাট, তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, জম্মু ও কাশ্মীর, হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবে, ডাল একটি বিশাল এলাকা জুড়ে চাষ করা হয়। যেখানে ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, আসাম এবং নাগাল্যান্ডে বপনের পরিমাণ কমে গিয়েছে।
দেশে তৈলবীজের উৎপাদন বাড়াতে সরকার নানা পরিকল্পনা চালাচ্ছে। এর জন্য কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ দেওয়া হচ্ছে।দেশে তৈলবীজের চাষ গত বছরের তুলনায় ১৬.৩৭ লাখ হেক্টর বেশি হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ Monofilament shade net: মনোফিলামেন্ট শেডনেট ব্যাবহারে চাষের বিপুল উন্নতির সুযোগ
গত বছরে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে ৭২.১৩ লাখ হেক্টর জমিতে তৈলবীজ বপন করা হয়েছিল। এবার একই সময়ে ৮৮.৫ লক্ষ হেক্টর জমিতে বপন করা হয়েছে এবং এখনও অনেক রাজ্যে বপনের কাজ চলছে। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক, পাঞ্জাব, আসাম, মহারাষ্ট্র, জম্মু ও কাশ্মীর, মেঘালয় এবং উত্তরাখণ্ডের মতো রাজ্যের কৃষকরা আরও বেশি জমিতে তৈলবীজ চাষ করছে । ঝাড়খণ্ড, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তিশগড়, নাগাল্যান্ড, বিহার, হিমাচল প্রদেশ এবং অন্ধ্র প্রদেশে চাষের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে।