অনেকটা স্বস্তির খবর | প্রায় ৫১ দিন পর দেশের করোনা দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা নামল ১.৫ লক্ষের নীচে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৫১০ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ২ কোটি ৮১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৪৪ জন।
দৈনিক সংক্রমণ কমার পাশাপাশি দেশে দৈনিক মৃত্যুও কমছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৭৯৫ জনের। ২৭ এপ্রিলের পর মঙ্গলবার প্রথমবার দেশের দৈনিক মৃত্যু ৩ হাজারের নীচে নামল। গত বছর থেকে এখনও অবধি করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩ লক্ষ ৩১ হাজার ৮৯৫ জন | দৈনিক সংক্রমণ কম এবং দৈনিক সুস্থ বেশি হওয়ার জেরে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও কমছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সক্রিয় রোগী কমেছে ১ লক্ষ ৩০ হাজারেরও বেশি। আপাতত দেশে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১৮ লক্ষ ৯৫ হাজার জন।
রাজ্য অনুযায়ী করোনা গ্রাফ (Corona graph of different states):
প্রায় সব রাজ্যেই আক্রান্ত কম হওয়ায় দেশে দৈনিক আক্রান্ত কমতে শুরু করেছে। মহারাষ্ট্রের দৈনিক আক্রান্ত নেমেছে ১৫ হাজারের মধ্যে। কর্নাটক এবং কেরলেও তা যথাক্রমে ১৬ হাজার ৬০৪ এবং ১২ হাজার ৩০০ জন। গত ২ দিন ধরে তামিলনাড়ুর দৈনিক সংক্রমণও ৩০ হাজারের নীচে থাকছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ৯৩৬ জন। অন্ধ্রপ্রদেশে আক্রান্ত নেমেছে ৭ হাজারের মধ্যে। পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের ঘরে। ওড়িশাতেও দৈনিক সংক্রমণ হচ্ছে ১০ হাজারের কম (Actives cases are decreasing)। অসমে তা সাড়ে ৩ হাজারের কম এবং পঞ্জাবে তা আড়াই হাজারের আশপাশে। এ ছাড়া উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশে, তেলঙ্গানা, বিহার, হরিয়ানার মতো রাজ্যে দৈনিক আক্রান্ত ২ হাজারে নীচে নেমেছে। দিল্লি, ঝাড়খণ্ড, হিমাচল প্রদেশে ১ হাজারের কম মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন গত কয়েক দিন ধরেই।
আরও পড়ুন - Spices Board Recruitment 2021: রাজ্যের মশলা গবেষণা কেন্দ্রে চলছে কর্মী নিয়োগ, জেনে নিন আবেদন
অতএব, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ-র ধাক্কা অনেকটাই সামলে নিয়েছে ভারত | গত কয়েকদিনের পরিসংখ্যান তাই ইঙ্গিত করছে | স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২ লক্ষ ৫৫ হাজার ২৮৭ জন। এই মুহূর্তে সুস্থতার হার ৯২.০৯ শতাংশ (Increasing recovery rates)। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের জন্য আরও বড় স্বস্তির জায়গা হল অ্যাকটিভ কেস। এদিন নতুন করে অ্যাকটিভ কেস কমেছে প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার। আপাতত চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ১৮ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫২০ জন।করোনা রুখতে সবচেয়ে জরুরি হল টিকাকরণ। ইতিমধ্যেই ভারতে ২১ কোটি ৬০ লক্ষ ৪৬ হাজার ৬৩৮ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। আশা করা যায়, এভাবেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসতে আসতে কাটিয়ে উঠতে পারবে দেশ |
নিবন্ধ: রায়না ঘোষ
আরও পড়ুন - World Milk Day – কেন পালন করা হয় এই দিনটি? জেনে নিন, এ বছর এই দিনটির থিম এবং তাৎপর্য সম্পর্কে
Share your comments