কৃষিজাগরন ডেস্কঃ ভারত সম্প্রতি G-20 আয়োজন করেছে। এই সময়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। G-20 চলাকালীন ভারত সরকার আমেরিকার আপেলের আমদানি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্তের পর ক্ষুব্ধ কাশ্মীরের কৃষকরা। বিরোধী দলগুলোও এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতি ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তকে কাশ্মীরের কৃষকদের জন্য আঘাত বলে অভিহিত করেছেন।
অর্থনীতিতে কাশ্মীরে চাষ হওয়া আপেলের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরে প্রায় ৩২ লাখ কৃষক আপেল উৎপাদন ও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। প্রতি বছর রাজ্যে প্রায় ১২ লক্ষ মেট্রিক টন আপেলের চাষ হয়। এটাই এখানকার কৃষকদের আয়ের প্রধান উৎস। এখন, G-20 বৈঠক চলাকালীন, ভারত সরকার আমেরিকায় ফলানো আপেলের আমদানি শুল্ক কমানোর কারণে কাশ্মীরের কৃষকদের মধ্যে প্রচুর ক্ষোভ রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে জায়ফল চাষ করলে আয় হবে দ্বিগুণ
কৃষকরা বলছেন, গত কয়েক বছর ধরে বিদেশ থেকে ভারতের বাজারে আসা আপেল নিয়ে তারা ইতিমধ্যেই সমস্যায় পড়েছেন। এ কারণে তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি হচ্ছে কম দামে। বিদেশি আপেল আসার কারণে বাজারে আমাদের আপেলের চাহিদা কমে গেছে। আমরা গত কয়েক বছর ধরে বিদেশ থেকে আপেল আমদানি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে আসছি। এখন বিদেশি আপেলের আমদানি শুল্ক কমিয়ে দিলে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হবে।
আরও পড়ুনঃ সাধারণ আলুর পরিবর্তে গোলাপি আলু চাষ করুন, উপকার পাবেন
জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত কাশ্মীরের কৃষক বিরোধী। শুধু কাশ্মীরের কৃষকই নয়, হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডের কৃষকরাও এর থেকে বড় ধাক্কা পাবেন। একইসঙ্গে পিডিপি সভাপতি মেহবুবা মুফতিও কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তকে শুধু কৃষকবিরোধীই বলে অভিহিত করেছেন। আরও বলেন, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার কাশ্মীরের কৃষকদের ধ্বংস করতে চায়।
Share your comments