নেপালের কাঠমান্ডু এলাকার দুগ্ধ কৃষকদের মাথায় হাত | হোটেল এবং রেস্তোঁরা বন্ধ থাকায়, ক্রেতা নেই বলে কৃষকরা তাদের দুধ বিক্রি করতে (dairy sector collapsed)পারছেন না। অন্যদিকে সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে বাসিন্দারা দুধ কিনতে তাদের বাড়ি থেকে বেরোতে চাইছেন না |
দুগ্ধ কৃষকের মতামত (Dairy farmer’s opinion):
লেকবেশি পৌরসভা -১০ এর দুগ্ধ খামারি চূড়ামণি ধাকাল বীরেন্দ্রনগরে ডেইরিতে প্রতিদিন ৩০০ লিটার দুধ বিক্রি করতেন। তার খামারে ৫০ টি মহিষ রয়েছে, যাদের ২৭ টি দুধ দেয়।
সরকার সুরক্ষেত জেলাকে লকডাউনের আওতায় বিধি-নিষেধ জারি করে তার বিক্রি প্রতিদিন ১০০ লিটারে নেমে এসেছে | হোটেল এবং রেস্তোঁরা বন্ধ করায়, সকলেই নিজের বাড়ি ফিরে গেছে | তাই, কৃষকরা দুধ বিক্রি করতে পারছেন না | চূড়ামণি বলছেন, সংক্রমণের ঝুঁকির ভয়ে বাসিন্দারা যেমন বাইরে বেরোচ্ছেন না এমনকি তারা মুদি-দোকানের জিনিস কিনতেও খুব কম বেরোচ্ছেন | তাই ডেইরির মালিকরা তাদের কম দুধ আনতে বলছে যাতে বিক্রি না হয় | অন্যদিকে, তাদের মহিষের খাবার জোগাড় করতেও সমস্যা হচ্ছে |
ডেইরি মালিক কৃষ্ণ চালাইস জানান, হোটেল বন্ধ থাকায় আমরা কৃষকদের কম দুধ আনতে বলেছি | তাদের পক্ষেও প্রত্যহ দুধ বিক্রি করা বড় কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে |
বীরেন্দ্রনগর -১৪ দারনকোটের পরজুলী এলাকায় খরার কারণে প্রচুর ঘাস না থাকায় ওই এলাকার কৃষকরা তাদের গরু-মহিষকে পর্যাপ্ত পরিমানে ঘাস খাওয়াতে পারছেন না | অন্যদিকে, লকডাউন থাকার কারণে বিকেলে তারা গরু মহিষ নিয়ে অন্য জায়গায় ঘাস খাওয়াতে যেতেও পারছেন না |
ওই এলাকার এক কৃষক বলছেন, তিনি আগে বাজারে ৬৫০ লিটার দুধ নিয়ে যেতেন তবে বর্তমানে তিনি মাত্র ১৫০ লিটার দুধ নিয়ে যান | আবার, কিছু কিছু কৃষকরা দুধ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন |
ওই এলাকার প্রশাসন প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলির অধীনে থাকা সত্ত্বেও দুগ্ধজাত পণ্য বিতরণ নিষিদ্ধ করেছেন | ফলত, পশুপালন থেকে জীবিকা নির্বাহ করে আসা বাণিজ্যিক কৃষকরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। অনেক কৃষকদের প্রত্যহ ৫০ লিটারের বেশি দুধ বিক্রি না হয়ে বাড়িতে থেকে যাচ্ছে | অনেকে সংসারের নূন্যতম খরচ জোগাতে ব্যর্থ হচ্ছেন |করোনার প্রথম পর্বের ধাক্কা কাটিয়ে তারা একটু স্বস্তির নিঃশাস নিচ্ছিলো কিন্তু আবার এই দ্বিতীয় ঢেউ হয়তো তাদের পথে বসাবে |প্রশাসন মাঠে অবধি যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা জারি করায়, কৃষকরা তাদের গরু-মহিষকেও পেট ভরে খাওয়াতে পারছেন না |
যমুনার রাম কুমার গুরুংয়ের মূল পেশা দুগ্ধজাত পণ্য তৈরি করা। তিনি প্রতিদিন ১০০ লিটারেরও বেশি দুধ প্রক্রিয়াজাত করে ঘি এবং পনির তৈরি করতেন। এখন তিনি দুশ্চিন্তায় আছেন যে তিনি কতদিন নিজের দুগ্ধের কারখানা চালিয়ে রাখতে পারবেন। ওনার মতো অনেকেই তাদের দুগ্ধ খামার (Dairy farms)আদৌ চালাতে পারবেন কিনা সেই বেজায় দুশ্চিন্তায় আছেন | তাই, তারা এখন শুধু বড় বড় সংস্থার দিকে তাকিয়ে আছে | যদি কোনোভাবে সেখানে তাদের উৎপাদিত দুধ বিক্রি করে সংসার চালাতে পারেন |
নিবন্ধ: রায়না ঘোষ
আরও পড়ুন - LIC Recruitment 2021: ৫ শহরে LIC দপ্তরে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি, জেনে নিন আবেদন পদ্ধতি
Share your comments