জীবন বড়ই অনিশ্চিত। কখন কি ঘটবে জানা নেই কারোর। গতকালের করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ঘটনা দেখে শিউরে উঠছে গোটা দেশ। এক ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে গতকাল হাজার স্বপ্নের। কেউ বেড়াতে, বহু মাস পর হয়ত পরিজনের কাছে ফিরছিলেন কেউ। অথবা কেউ নতুন জীবন শুরু করতে। হটাত নেমে এল অভিশাপ। এক ধাক্কায় শেষ সবকিছু। শুরু হল মৃত্যু মিছিল। লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে আছে সব কামরা। পরিণত হয়েছে মৃত্যু উপত্যকায়।
দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া কামরা গুলি থেকে উদ্ধার হচ্ছে নিথর দেহ। অথবা কেউ পড়ে রয়েছেন আহত হয়ে। তাঁদের পাশেই বেজে উঠছে ফোন। ফোনের ওপারে দীর্ঘশ্বাস ফেলছে আত্মীয়- পরিজনেরা। মোবাইলের স্ক্রিনে ভেসে উঠছে প্রিয়জনের মুখ। না সে আর ধরবে না ফোন। ফোন বলে উঠছে ‘নট রেসপন্ডেড’!
দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা ধরে চলছে উদ্ধারকার্য। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩৮। আহত হয়েছেন প্রায় ৯০০ জন। সকাল ৮ টা নাগাদ বালাসোরে রেল দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ইতিমধ্যেই সরকারের তরফে মৃতের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ। গুরুতর আহতদের জন্য ২ লক্ষ এবং সাধারণ আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ঘোষণা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী। আর কিছুক্ষনের মধ্যেই যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই বাংলা থেকে পাঠানো হয়েছে প্রতিনিধি দল। আহতদের আনা হচ্ছে কলকাতা।
আরও পড়ুনঃ পটলের বৈজ্ঞানিক কৃষি এবং চারাগাছ সুরক্ষা
রাষ্ট্রপতি লেখেন, “ওড়িশার বালাসোরে এক দুর্ভাগ্যজনক রেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানির বিষয়ে জানতে পেরে গভীরভাবে মর্মাহত। শোকাহত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা। উদ্ধার অভিযানের সফলতা এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।“
অমিত শাহ ট্যইট করে লেখেন, “ওড়িশার বালাসোরে ট্রেন দুর্ঘটনা গভীর বেদনাদায়ক। এনডিআরএফ দল ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে, এবং অন্যান্য দলগুলিও উদ্ধার অভিযানে যোগ দিতে তৎপর। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।“
আরও পড়ুনঃ কৃষি শিল্পে মিডিয়া এক্সপোজারের অভাব রয়েছেঃ এমসি ডমিনিক
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লেখেন” ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় মর্মাহত।এই দুঃসময়ে আমি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। রেলমন্ত্রীর @AshwiniVaishnaw-র সঙ্গে কথা হয়েছে এবং পরিস্থিতির খবর নিয়েছি।“
পাশাপাশি ১৫ টি এ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেদু অধিকারীর। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শুরু করেছেন উচ্চস্তরের বৈঠক।
Share your comments