সরকার পূর্বাঞ্চলে কালো লবণ ধান পুনরুদ্ধারের প্রস্তুতি শুরু করেছে। প্রকৃতপক্ষে, উত্তর প্রদেশ রাজ্যে সরকার মূল প্রজাতির কালো লবণ ধানের বপন এবং কালো লবণ ধানের উত্পাদন বৃদ্ধি সম্পর্কে দৃষ্টিপাত করেছেন। এ জন্য উত্তর প্রদেশের মুখ্যসচিব সেখানকার কৃষকদের আধিকারিকদের সাথে এক বৈঠক করেছেন।
সরকার শংসাপত্রিত এবং প্রত্যয়িত বীজ সরবরাহ করা হবে
এখানকার রপ্তানিকারকেরা কালো লবণ ধান দেশের বাইরে রপ্তানি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পাশাপাশি আসন্ন মরশুমে শংসাপত্রিত ও পরিশোধিত কালো লবণ ধানের বীজ তৈরি ও বপনের জন্য একটি রোডম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে। এ জন্য প্রশাসনকেও এই প্রকল্প সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছে।
নতুন ধান বাজারে প্রবেশ করবে
কালো লবণ নামে একটি নতুন জাতের ধান শীঘ্রই উত্তরপ্রদেশের বাজারগুলিতে চালু করা হবে। প্রধান সচিব জানান, ধান কাটার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের রাইস মিল স্থাপন করা হবে। এ জন্য বেসরকারী খাতের সাথে আলোচনা করা হচ্ছে। তিনি বলেছেন যে, এর জন্য সবার সহযোগিতা জরুরি। কালো লবণ ধানের ফলন কীভাবে বৃদ্ধি করা যায়, সে সম্পর্কে আলোচনা করতে এখানে সকল রপ্তানিকারকেরা একসাথে এসেছিলেন। এই ধান চাষের জন্য পরিমিত সেচ ব্যবস্থা সম্পর্কেও এখানে আলোচনা করা হয়। এই ধানের ফলন বৃদ্ধির জন্যে প্রত্যয়িত ও পরিশোধিত বীজের গুণমান নিশ্চিত করতে হবে।
কালো লবণ চাল রপ্তানি করা হবে
কালো লবণ ধান উৎপাদনের জন্য, চারটি বিভাগের ১১ টি জেলা জিআই ট্যাগ পেয়েছে। এই স্থানের জেলাগুলিতে কালো লবণ চাল রপ্তানি করা হবে। এ জন্য গোরক্ষপুরের চারটি জেলা এবং ফৈজাবাদ বিভাগের একটি জেলা এবং আরও কয়েকটি জেলা নির্বাচন করা হয়েছে। এখানকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে জৈব সার থেকে উত্পাদিত ধানের সুগন্ধ তিন বছর পর্যন্ত থাকে এবং এই ধানের ফলনও থাকে সঠিক।
চার ধরণের বীজ নির্বাচিত করা হয়েছে-
এখানকার কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র, সোহনা এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পান্তনগর যৌথভাবে এ বিষয়ে গবেষণা করছে। এখানে চার ধরণের কালো লবণ ধানের বীজ নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে। এর একটি স্থানীয় এবং তিনটি বাইরের বীজ রয়েছে।এর উত্পাদন শেষে এগুলি পান্তনগর এবং কুমারগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেরণ করা হবে যেখানে তাদের শংসাপত্র দেওয়া হবে।
স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)
Share your comments