হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের শুক্ল পক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে দোল উৎসব পালিত হয়।এই বছর, হোলিকা দহন করার শুভ সময় ১৭ মার্চ, ২০২২ বৃহস্পতিবার রাত ০৯:২০ থেকে ১০:৩১ পর্যন্ত থাকবে।
হিন্দু ধর্মে দোল উৎসব বা হোলি উৎসবের একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। রঙে ভরা এই বসন্তের উৎসবের রয়েছে বিশেষ ধর্মীয় তাৎপর্য। হোলিকে মন্দের ওপর ভালোর জয়ের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়।
আরও পড়ুনঃ মহিলা কৃষকদের এক অসম্পূর্ণ অধিকার,এবং এক সম্পূর্ণ কাহীনি
স্কন্দপুরাণ গ্রন্থের ফাল্গুনমাহাত্ম্য গ্রন্থাংশে হোলিকা ও প্রহ্লাদের উপাখ্যান বর্ণিত হয়েছে। হোলিকা ছিলেন মহর্ষি কশ্যপ ও তাঁর পত্নী দিতির পুত্র হিরণ্যকশিপুর ভগিনী। ব্রহ্মার বরে হিরণ্যকশিপু দেব মানব বিজয়ী হয়ে দেবতাদের অবজ্ঞা করতে শুরু করেন। ভক্ত প্রহ্লাদ অসুর বংশে জন্ম নিয়েও পরম ধার্মিক ছিলেন। তাঁকে যখন বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও হত্যা করা যাচ্ছিল না তখন হিরণ্যকিশপুর বোন হোলিকা প্রহ্লাদকে কোলে নিয়ে আগুনে প্রবেশের সিদ্ধান্ত নেন। কারণ হোলিকা এই বর পেয়েছিল যে আগুনে তার কোন ক্ষতি হবে না। কিন্তু অন্যায় কাজে শক্তি প্রয়োগ করায় হোলিকা প্রহ্লাদকে নিয়ে আগুনে প্রবেশ করলে বিষ্ণুর কৃপায় প্রহ্লাদ অগ্নিকুণ্ড থেকেও অক্ষত থেকে যায় আর ক্ষমতার অপব্যবহারে হোলিকার বর নষ্ট হয়ে যায় এবং হোলিকা পুড়ে নিঃশেষ হয়ে যায়, এই থেকেই হোলি কথাটির উৎপত্তি।
আরও পড়ুনঃ international women's day: আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ইতিহাস, এই বছরের উদ্দেশ্য এবং থিম জানুন
ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পশ্চিমবঙ্গে ন্যাড়াপোড়া হয় উত্তর ও পশ্চিম ভারতে হোলিকা দহনের আয়োজন হয়। তার পরের দিন হোলি। অসতের ওপর সততার জয়ের প্রতীক এই দোল উৎসব। হোলির ৮ দিন আগে হোলাস্টক শুরু হয়। এ সময় কোনও শুভ কাজ করা যায় না। চলতি বছর ১৭ মার্চ দোল ও ১৮ মার্চ হোলি।
Share your comments