পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর জিনিস হল কাওকে ভালোবাসা। প্রিয় মানুষটার ভালো মন্দ সবটা জেনেও তাঁর পাশে থেকে যাওয়া। তবে এই প্রেমে রয়েছে প্রচুর ঝুঁকি। সেই সমস্ত ঝুঁকি কাটিয়ে উঠতে পারলে তবে প্রেমে সাফল্যতা। তার আগে ঘরবন্দি, ফোন কেড়ে নেওয়া, দাদার শাসন, মায়ের বকা এগুলো নিত্যদিনের সঙ্গী। আর তার সঙ্গে ফোনের অডিয় লিস্টে থাকবেই “ পাড়ায় ঢুকলে ঠ্যাঙ খোঁড়া করে দেব”।
এই ঝুঁকি থেকে বাদ পড়েনি তাবড় তাবড় তারকরাও। শাহরুখ, সলমন, শচিন ইত্যাদি বহু তারকা। আজ আমরা ভারতীয় দলের ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মার প্রেমে ঝুঁকির কাহিনি শোনাব। রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) এবং তাঁর স্ত্রী ঋতিকা সাজদেহর (Ritika Sajdeh) প্রেম কাহিনি বেশ চর্চিত। কোনও সিনেমার গল্প থেকে কম কিছুনা।
রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) এবং তাঁর স্ত্রী ঋতিকা সাজদেহর (Ritika Sajdeh) প্রেমে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ঋতিকার দাদা। সেই দাদা কে জানেন? ভারতীয় ক্রিকেট টিমের একজন সিনিয়র ক্রিকেটার। সকলের প্রিয় যুবরাজ সিং। যদিও যুবরাজের নিজের বোন নয় ঋতিকা। তবে দূর সম্পর্কের বোনের জন্যও দাদার শাসন এক আনাও কম হয়নি।
আরও পড়ুনঃ Weather Alert: আগামী তিন দিন দুর্যোগের কালো ছায়া! তৈরি হচ্ছে সাইক্লোনিক সার্কুলেশন
‘ব্রেকফাস্ট উইথ চ্যাম্পিয়ন্স' এই শো তেই সেই দিনের স্মৃতিচারণ করলেন রোহিত শর্মা। তিনি বলেন “একটি বিজ্ঞাপনের শুটিং এর জন্য যুবি পাজির কাছে গিয়েছিলাম। সঙ্গে ছিল ইরফান পাঠানও। সেখানেই ঋতিকাকে প্রথম দেখা। গিয়ে ঋতিকার সঙ্গে কথা হয়। তারপর যুবি পাজির সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে যুবি পাজি বলে ওঠে ওটা আমার বোন ওর দিকে তাকিও না। এরপর সারাদিন সেইভাবে কথা হয়নি। এমনকি সেই বিজ্ঞাপনের পরিচালক জানায় মাইক্রোফোন খারাপ হওয়ার কারণে শুটিং এর কোনও কাজ হয়নি। ফিরে আসার সময় ঋতিকা নিজে এসে বলে কোনও অসুবিধা থাকলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে”।
আরও পড়ুনঃ একের পর এক ডিলিট হচ্ছে চ্যানেল,কোন নতুন নীতিগত পরিবর্তন আনল ইউটিউব ?
তারপর থেকেই আস্তে আস্তে বেড়ে উঠেছে তাঁদের প্রেমের বয়স। ২০১৫ সালে বিয়েও সারেন দুজন। ২২ গজের মাঠের বাইরে হাসিখুশি মেজাজে থাকা মানুষটাকে বেশ সামলে নিয়েছেন ঋতিকা। বিয়ের পর যুবরাজ জানান রোহিতের মত একজনের হাতে বোনকে সঁপে দিয়ে বেশ নিশ্চিন্ত তিনি। রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) এবং ঋতিকা সাজদেহর (Ritika Sajdeh) সংসারে এখন তিনজন। রয়েছে কন্যা সন্তান। মাঝে মধ্যেই সামাইরার দুষ্টু মিষ্টি ভিডিও উঠে আসে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায়।
Share your comments