এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হল কৃষি জাগরণ। দিল্লির সদর অফিসে উপস্থিত হলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এবং কেরালার প্রাক্তন রাজ্যপাল পি. সথাশিবম। কৃষি জাগরণের বিশেষ অথিতির তালিকায় যুক্ত হল আরও একটি উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম। বর্তমানে তিনি কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। তাই তিনি এখন ভালোভাবে বুঝতে পারছেন কৃষকরা এই কাজ করার সময় কি কি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
কৃষক এবং ক্রেতাদের মাঝখানে থাকে মধ্যস্থতাকারীরা। আর এই মধ্যস্থতাকারীরাই সমস্ত সুবিধা নিচ্ছেন বলে মনে করেন প্রাক্তন বিচারপতি। কৃষি জাগরণের আয়োজিত এই কেজে চৌপাল অনুষ্ঠানে সোনালিকা গ্রুপের সিইও বিমল কুমার, উদ্ভিদ ভিত্তিক খাদ্য শিল্প সমিতির নির্বাহী পরিচালক সঞ্জয় শেঠি, প্রাক্তন ডিডিজি (প্রাণী বিজ্ঞান-আইসিএআর)ও অংশ নেন। অতিথিদের স্বাগত জানান কৃষি জাগরণের প্রতিষ্ঠাতা এম সি ডমিনিক। এই অনুষ্ঠানে প্রাক্তন রাজ্যপাল সথাশিবম কৃষি জমিতে উৎপাদিত ফসল, কৃষকদের সমস্যা এবং সরকারের গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেন।
আরও পড়ুনঃ ৭৫ পয়সার ঘাস চাষ থেকে আয় লাখ টাকা!
তিনি বলেন, অবসর নেওয়ার পর ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকেই তিনি সম্পূর্ণ ভাবে চাষের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। তিনি জানান, তাঁর গ্রামে প্রায় ৩০ একর জমিতে চাষবাস চলছে। আখ, সুপারি, কলা, নারিকেল ইত্যাদি গাছ রয়েছে। রয়েছে ড্রিপ সেচ এবং আধুনিক কৃষি কৌশল ব্যবস্থা। সার হিসেবে তিনি ব্যবহার করেন গোবর।
আরও পড়ুনঃ চড়া দামে বিক্রি হয় মহুয়ার তেল! আয়ের নব দিশা
কৃষকদের সমস্যার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, সত্য এটাই যে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেও কৃষকদের কোনও লাভ হয়না। একটা নারকেলের দাম কৃষকদের কাছে ৫ থেকে ৭ টাকা কিন্তু সেটাই যখন কৃষকদের কাছে আসে তখন তার দাম হয় ৩০ টাকা বা তারও বেশি। এই লেনদেনের মাঝে যারা রয়েছে লাভ হচ্ছে তাদেরই। মহাত্মা গান্ধী 100 দিনের গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পের অধীনে শ্রমিকদের কৃষিতে নিযুক্ত করার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, কৃষি কাজের জন্য জনবলের অভাব রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ জাতীয় রোজগার মেলায় ৭০ হাজার নিয়োগপত্র দিলেন প্রধানমন্ত্রী
অপ্রত্যাশিত আবহাওয়ার পরিবর্তন ফসলের ক্ষতি করে। গ্রামে এই বিষয়ে যার দায়িত্ব থাকে সেই কর্তৃপক্ষের দেওয়া রিপোর্টের উপর নির্ভর করে বিমা গ্রহন করা হয়। অনেক সময় অনেক কৃষকের মারাত্মক ক্ষতি হয় কিন্তু বিমা পান না। এই বিষয়গুলিতে সরকারের জোর দেওয়া উচিত। এছাড়াও তিনি জানান কৃষি সংক্রান্ত বিষয় মাতৃভাষায় প্রকাশ করা উচিত। আমাদের দেশে একাধিক ভাষা তাই সব ভাষা সকলের বোধগম্য নাও হতে পারে। তাই ভালো বীজ, ভালো সার, এবং স্কিম গুলি মাতৃভাষায় কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া উচিত।