পৃথিবীতে অনেক বিষাক্ত মাছ আছে । আপনি কি জানেন, পুফার নামের মারাত্মক বিষাক্ত এই মাছ আমাদের বেশির ভাগ ভারতে পাওয়া যায় –
পুফার নামের এই মাছের বিষ প্রথমে একটি মানুষের শরীরের ঠোঁট ও নখের উপর তার প্রভাব দেখায়। এই মাছের বিষে প্রথমে ঠোঁট ও নখ সামান্য অবশ হয়ে যায়। এরপর শরীর নিয়ন্ত্রণ হারায়, শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এবং মৃত্যু ঘটে।
এটি এক ধরনের অদ্ভুত সামুদ্রিক মাছ। এর অন্যান্য নামও রয়েছে, যেমন- ফেস্যান্ট, ফ্রগফিশ, পর্কিউপাইন ফিশ, পালাচি-র মতো নানা আজব নাম। ইংরেজিতে এটিকে (পুফার ফিশ) ‘পুপ্পার সিজল’ বলা হয় ।
ফেসান্ট মাছের গঠন মানুষের মুখের অনুরূপ। রামেশ্বরম থেকে বিদেশ পর্যন্ত রপ্তানি করা সবচেয়ে বিষাক্ত মাছের প্রজাতির মধ্যে এটি অন্যতম। এই প্রজাতিটির মাছের ১২০ টিরও বেশি প্রজাতি রয়েছে, যেগুলির প্রত্যেকটির বর্ণ এবং গঠন আলাদা।
জাপানে একে বলে ‘ফুগু’। এই মাছ শত্রুদের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে ১০ গুণ শরীর বড় করতে পারে।
এই ফুকু মাছ বিশ্বের দ্বিতীয় বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি। তার শরীরের প্রতিটি অংশে টক্সিন সম্পূর্ণ দমন করা হয় । শরীরের উপরিতল কাঁটা দিয়ে ঢাকা, মাথা এলাকা অত্যন্ত বিষাক্ত। এটি তার শরীর থেকে (টেট্রোডোটক্সিন) টেট্রোটোটক্স-এর একটি জলাভূমি তৈরি করে। এর বিষের প্রভাবে একই সময়ে ৩০ জনের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। কারণ এতে সায়ানাইড-এর চেয়ে ১০০০ গুণ বেশি বিষ থাকে। আর এই বিষের প্রতিষেধক রূপে কোনও ওষুধই পাওয়া যায়নি। এত বিষাক্ত এই মাছটি জাপানে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। ভারতে সবচেয়ে সস্তা এই মাছের দাম জাপানে ২০ ডলার এবং প্রতি বছর ১০০০ টন পর্যন্ত জাপানে এটি খাওয়া হয়।
স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)
Share your comments