বেতুল জেলার বাঘোলি গ্রামের এক কৃষক জয়রাম গায়কওয়াড়,তার ৩০ একর জমির মধ্যে মাত্র ১০ একর জমি জৈব চাষের জন্য ব্যবহার করে বছরে ৩৫ লক্ষ টাকা আয় করছেন।
জয়রাম তার পাঁচ একর জমিতে আখ, দুই একর জমিতে কেঁচো সার, গোয়াল ও গোবর গ্যাস প্লান্ট, দেড় একর জমিতে জৈব পদ্ধতিতে গম এবং বাকি দেড় একর জমিতে জৈব পদ্ধতিতে সাক-সব্জি চাষ করছেন। গোশালায় তার মোট ৫৫ টি গরু রয়েছে। এই ৫৫টি গরু থেকে তিনি প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৫০ লিটার দুধ পান।
জয়রাম বলেছেন, যে তিনি মধ্যপ্রদেশের জৈব সার্টিফিকেশন অর্গানাইজেশন, ভোপালের সাথে যুক্ত হওয়ার পরে গত ১৫ বছর ধরে জৈব চাষ করছেন।
তিনি আরও বলেন, আখ থেকে গুড় তৈরি করা হয়, যা বাজারে বিক্রি হয় ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। তিনি সকালের দুধ বাজারে বিক্রি করেন এবং সন্ধ্যার দুধ থেকে মাওয়া, পনির, দই ও মিষ্টি তৈরি করে বিক্রি করেন। এতে তার ভালো আয় হয়। কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার জন্য এটি একটি দুর্দান্ত বিকল্প হতে পারে। এতে শুধু কৃষকদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হবে না। বরং কৃষকদের ভবিষ্য়তে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সাহস যোগাবে।
আরও পড়ুনঃ আলুর রোগ ও তার প্রতিকার
তিনি জানান, জৈব সার হিসেবে কেঁচো দিয়ে সার বানিয়ে বাজারে বিক্রি করে তিনি ভালো আয় করতে পারছেন এবং এর সাথে সাথে তিনি জৈব চাষের প্রচারও করছেন। জয়রাম কিভাবে কৃষি খাতে নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষি কাজকে আরও উন্নত করা যায় সে বিষয়ে কৃষক কল্যাণ ও কৃষি উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করব।
আরও পড়ুনঃ অনেক পেয়ারাই তো দেখেছেন! কালো পেয়ারা দেখেছেন কখোনো? জেনে নিন কালো পেয়ারার গুন
এখন আশেপাশের গ্রামের কৃষকরাও জয়রামের কাছ আসতে শুরু করেছে পারামর্শ নিতে। কৃষকরা জানান, তারাও এখন জয়রামের মতো কৃষিকাজ করে উন্নত চাষের পাশাপাশি অধিক মুনাফা অর্জন করতে চান।
Share your comments