কৃষকদের জন্য প্রতিদিন আসছে নতুন নতুন স্কিম, সাবসিডি ! কিন্তু আদতে কত কৃষকের কাছে সেই সুবিধা পৌঁছেছে। সমীক্ষা বলছে বালিয়া, উত্তপ্রদেশ রাজ্যের পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতি বছর গড়ে ১৫ হাজারের বেশি কৃষক আত্মহত্যা করছে। আত্মহত্যার নিরিখে দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এই কৃষকদের মধ্যে ৭০ শতাংশ রয়েছে ক্ষুদ্র কৃষক।
গ্রামীণ এলাকার অর্ধেকেরও বেশি জনসংখ্যা কৃষির উপর নির্ভরশীল। কিন্তু যত দিন এগোচ্ছে খেতের পরিমাণ কমছে। ৬০ বছর আগে খামারের গড় আয়তন ছিল ২.৭ হেক্টর। যা বর্তমানে ১.2 হেক্টরের কম হয়েছে। আমেরিকা, ইজরায়েল, ইউরোপ সমস্ত দেশেই সহযোগিতার ভিত্তিতে চাষাবাদের ব্যবস্থা রয়েছে। এই দেশ গুলির খামারের সাইজ বড়। উৎপাদিত মুনাফা শতাংশের ভিত্তিতে বন্টন করা হয়। ফসলের বাজারজাতকরণ কেমন হওয়া উচিত, গোডাউন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কেমন হওয়া উচিত, কীভাবে ন্যায্য মূল্য পাওয়া যায় এগুলো এখনও ঠিক করে জানেন না কৃষকরা। দেশের কমলা, লিচু, আমের মত ফল সারা বিশ্বে পৌঁছতে পারলেও সুনির্দিষ্ট উদ্যোগের অভাব রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ Amazon Kisan: কৃষির স্বার্থে চুক্তি স্বাক্ষর করল ICAR এবং Amazon
বাজরার উৎপাদন নিয়ে প্রচুর তথ্য উঠে এসেছে কিন্তু কৃষকদের এটা বলা হচ্ছে না যে বাজরার বীজ কোথায় পাওয়া যাবে। মার্কেটিং কীভাবে হবে ক্ষুদ্র শিল্পপতিরা যখন কিছুই করতে পারছেন না, কৃষকরা করবেন কী করে?উন্নত দেশগুলিও তাদের কৃষকদের অনুদান দেয়। তারা কৃষকদের সব ধরনের সাহায্য দিয়ে থাকে, কিন্তু আমাদের দেশের কৃষকদের যে সাহায্য দেওয়া হয় তা উটের মুখে জিরার মতো। সার ও বীজের কী অবস্থা, তা কারও কাছে গোপন নয়।
রবীন্দ্রনাথ চৌবে কৃষি মিডিয়া বালিয়া উত্তরপ্রদেশ
আরও পড়ুনঃ ধানের অন্যতম ক্ষতিকর বাদামীদাগ রোগ ও তার প্রতিকার
Share your comments