কৃষিজাগরণ ডেস্কঃ শেষ পর্যন্ত দল ছাড়লেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ। কংগ্রেসের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার সনিয়া গাঁধীকে লেখা পদত্যাগপত্রে ক্ষোভ উগরে দিয়ে গুলাম লিখেছেন, ‘দেশের জন্য যা ভাল, তা করতে ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেস।’ শুধু সব পদ ছাড়াই নয়, কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আগে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে রীতিমতো বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন তিনি। আজাদের দাবি, রাহুল সহ-সভাপতি হওয়ার পর দলের গঠনতন্ত্র ভেঙে গিয়েছে। যে প্রবীন নেতাদের পরামর্শে ইউপিএ সরকার সফল হয়েছিল, সেই প্রবীন নেতাদেরই উপেক্ষা করেছেন রাহুল।
দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর কাছে পাঁচ পৃষ্ঠার একটি চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। চিঠিতে আজ়াদ লিখেছেন, “সম্পূর্ণ সাংগঠনিক নির্বাচন প্রক্রিয়া একটি প্রহসনে পরিণত হয়েছে। দেশের কোথাও সংগঠনের কোনো স্তরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। ২৪ আকবর রোডে এআইসিসি চালাচ্ছে যে উপদল, তাদের তৈরি তালিকায় স্বাক্ষর করতে এআইসিসির বাছাই করা লেফটেন্যান্টদেরকে বাধ্য করা হয়েছে।”
আরও পড়ুনঃ অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত দিল্লি হাইকোর্টের! 4 সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের কাছে জবাব
রাহুলকে নিশানা করে গুলাম লিখেছেন, ‘অপরিণত হওয়ার সবচেয়ে জ্বলন্ত উদাহরণগুলির মধ্যে একটি হল, সংবাদমাধ্যমের সামনে রাহুল গাঁধীর হাতে সরকারি অধ্যাদেশ ছেঁড়া...। এই ধরনের শিশুসুলভ আচরণ প্রধানমন্ত্রী ও ভারত সরকারের কর্তৃত্বকে ধ্বংস করেছে। ২০১৪ সালে নির্বাচনে ইউপিএ সরকারের পরাজয়ের নেপথ্যে যে অবদানগুলি রয়েছে, তার মধ্যে এটি অন্যতম।’
কয়েক দিন আগে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রচার কমিটি এবং রাজনৈতিক বিষয়ক প্যানেল থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন গুলাম নবি। ২০২০ সালের অগস্টে যে ২৩ জন নেতা সনিয়াকে চিঠি দিয়ে দলীয় নির্বাচন এবং স্থায়ী সভাপতি নিয়োগের দাবি জানিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন গুলাম নবি।
আরও পড়ুনঃ সাড়ে ৭ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত জ্যাকলিনের,ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবিই কি কাল হল?
জি-২৩ নেতাদের রাহুলপন্থীরা যেভাবে আক্রমণ করেছেন, সেটা নিয়েও সরব হয়েছেন আজাদ। শেষে তিনি সাফ বলে দিয়েছেন, “নেতৃত্বের দোষে কংগ্রেস এমনভাবে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, যে এখান থেকে আর ফেরা সম্ভব নয়। ঠিক যে মডেলে ইউপিএ-২ সরকার ভেঙে পড়েছিল, দলের অন্দরেও এখন সেই পদ্ধতি চলছে। রাহুল গান্ধীর নিরাপত্তারক্ষী এবং আপ্তসহায়ক দল চালাচ্ছে।”
Share your comments