আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত দামের তীব্র হ্রাসের সাথে তাল মিলিয়ে, ভর্তুকিবিহীন এলপিজি রান্নার গ্যাসের দাম হ্রাস পেয়েছে। দেশব্যাপী লকডাউনের মাঝে অনেকেই সিলিন্ডারে ভর্তুকি পান নি, অথবা অন্য সময়েও অনেকেই এখনও এই ভর্তুকির সুবিধা থেকে বঞ্চিত, তাদের সংখ্যা নেহাতই নগণ্য নয়।
প্রাথমিকভাবে, গৃহজাত এলপিজির মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের অপরিশোধিত তেলের দামের উপর এবং মার্কিন ডলার বিনিময় হারের উপর নির্ভরশীল। তবে ২০২০ সালের ১৫ ই মার্চ থেকে অপরিশোধিত তেলের দাম কমে যাওয়ার পরেও পেট্রল এবং ডিজেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামের পতন গৃহজাত (ডোমেস্টিক) গ্যাসের দামকেও প্রভাবিত করেছে। তাই দাম কমেছে সিলিন্ডারের, ১ লা মে শুক্রবার থেকে, গৃহজাত এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমল প্রায় ২২৪ টাকা এবং বাণিজ্যিক (কমার্সিয়াল) ১৯ কেজি সিলিন্ডারের দাম প্রায় ৩৩৬ টাকা কমেছে। সূত্র অনুযায়ী, জানা গেছে, প্রায় দেড় কোটি গ্রাহক এই পদক্ষেপে উপকৃত হবেন।
তিনটি পেট্রোলিয়াম সংস্থা এলপিজির দাম কমিয়েছে। এর আওতায় গৃহজাত এলপিজি সিলিন্ডার ১ লা মে থেকে ৫৩৬.৫০ টাকায় সরবরাহ করা হবে। বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সিলিন্ডারটি পাবেন ১৯ কেজি ৯৮৮ টাকায়।
১৫ ই মার্চের পর থেকে ডিজেল-পেট্রোলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে এবং এই প্রথমবার এত দিন ধরে ডিজেল-পেট্রোলের দামে কোনও পরিবর্তন হয়নি। এখন ডিজেলের মূল্য ৬২.৮৭ (প্রতি লিটার) এবং পেট্রোল ৭১.৯৩ (প্রতি লিটার) টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে।
এলপিজি ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রঞ্জনা সোলাঙ্কি জানিয়েছেন, "নতুন করে ধার্য মূল্য আজ শুক্রবার থেকে (১ লা মে) কার্যকর হবে"। এলপিজি সিলিন্ডারের মূল্য প্রায় ২২৪ টাকা করে কম হওয়ায় অনেক মানুষ উপকৃত হবেন। অনেক অসাধু ব্যক্তি আছেন, যারা নিজেদের মুনাফার জন্যে বেশি দামে সিলিন্ডার সরবরাহ করেন, সেক্ষেত্রে মূল্য কমে যাওয়ায় তাঁদের লাভের অংশও অনেকটাই কমে যাবে। গ্রাহকরা এতে কম মূল্যে সিলিন্ডার পাবেন এবং ক্ষতির মুখে পড়বেন ডিলাররা।
এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের মূল্য কোন রাজ্যে কত হয়েছে, তা জেনে নিন -
স্থান |
এপ্রিল |
মে |
· দিল্লি |
· ৭৪৪ |
· ৬১১.৫০ |
· কলকাতা |
· ৭৭০ |
· ৫৩৬ |
· মুম্বই |
· ৭১৪ |
· ৫৭৯ |
স্বপ্নম সেন
Share your comments