কৃষিজাগরণ ডেস্কঃ ‘অ-আ-ক-খ’ শিখতে চান রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।তাই এ বছর সরস্বতী পুজোয় হাতেখড়ি হবে বাংলার রাজ্যপালের।আর এই অভিনব হাতেখড়ি নিয়ে রাজভবনে এখন ব্যাস্ততা তুঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই হবে অনুষ্ঠান। ২৬ জানুয়ারি রাজভবনের ‘ইস্ট লন’-এ বিকেল ৫টায়। বুধবার রাজভবনের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ড: সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে বাংলার আত্মিক যোগ রয়েছে। বাংলার নতুন রাজ্যপাল বইও লেখেন। অনেক বই বেস্ট সেলারও। ইংরেজি, হিন্দির ও মালয়ালমে ছোট গল্প, কবিতা, উপন্যাস লিখেছেন সিভি আনন্দ বোস।
আরও পড়ুনঃ আজ শিক্ষামন্ত্রী–উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস
রাজ্যপাল হিসেবে বাংলার দায়িত্ব নেওয়ার পরই সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) বাংলাভাষা নিয়ে তাঁর ইচ্ছা-উৎসাহর কথা জানিয়েছিলেন। বড়দিনে বাংলাভাষায় বই লেখার ইচ্ছেপ্রকাশও করেছিলেন রাজ্যপাল। সেদিন এক অনুষ্ঠানে রাজ্যপালকে বলতে শোনা গিয়েছিল, আমি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘কাবুলিওয়ালা’ পড়েছি। ছোট্ট মিনির চরিত্রটা আজও আমার মনে দাগ কেটে আছে।
তাঁর সংযোজন,সংযোজন ছিল, ‘‘আমি বাংলায় একটা বই লিখব। বাংলার এই সাহিত্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে আমি অনেক দিন ধরেই পরিচিত। আমাকে এই বাংলা বহু কাজে উদ্বুদ্ধ করেছে। আমি বাংলার দত্তক পুত্র। বাংলা আজ যা ভাবে গোটা দেশ সেটাই ভাবে। আগামী দিনে এই বাংলাই ভারতকে পথ দেখাবে।’’
আরও পড়ুনঃ Republic Day 2023: এই বছর প্রজাতন্ত্র দিবস কেন বিশেষ,জানুন বিস্তারিত তথ্য
তাঁর বাবা সুভাষচন্দ্র বসুর ভক্ত ছিলেন। আর তাই তাঁর নামের সঙ্গেও জুড়ে গিয়েছে ‘বোস’ পদবি। রাজ্যপাল পদের দায়িত্ব পাওয়ার পরেই আনন্দ জানিয়েছিলেন, তিনি বাংলা শিখছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘একনিষ্ঠ পাঠক’ বোস ‘শপথ’ও করেছিলেন, রোজ একটি করে নতুন বাংলা শব্দ শিখবেন। ধীরে ধীরে ভাঙা বাংলাতেই কলকাতার মানুষের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করবেন। এ বার সেই আনন্দের বাংলা ভাষায় হাতেখড়িও হতে চলেছে।
হাতে আর মাত্র কটা দিন। আর তারপরেই বাংলাজুড়ে সরস্বতী পুজোর দিন পুষ্পাঞ্জলি দিতে দেখা যাবে কচিকাঁচাদের। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে উৎসবের আমেজ।
Share your comments