ত্রিপুরার ধলাইতে আগাম জাতের আনারস তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার চাষিরা। এ বছর জেলার ১০০ একর টিলা জমিতে এই আনারস চাষ হয়েছে। খেতের ফল তুলে বাজারজাত শুরু করেছেন কৃষকেরা। চৈত্রের ভ্যাপসা গরমে চাহিদা থাকায় প্রতিদিন প্রায় অর্ধশত ট্রাক আনারস সমতলে নিয়ে যাচ্ছেন পাইকারেরা।
সাধারণত জুন-জুলাই আনারস চাষের মৌসুম। তবে কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় অসময়েও পাহাড়ে আনারস চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গরমে রসাল ফল হিসেবে চাহিদা থাকায় আগাম আনারস বাজারজাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা ।
আরও পড়ুনঃ Benefits of Pineapple Peel: ফেলে না দিয়ে ব্যবহার করুন আনারসের খোসা, শরীরের জন্য খুবই উপকারী
পাহাড়ের রসাল ফল আনারসের সমতলে চাহিদা বেশি। সেই চাহিদা মাথায় রেখে উপজেলার প্রায় ১০০ একর টিলায় এবার আনারস চাষ করেছেন অর্ধশত প্রান্তিক কৃষক। অনাবৃষ্টির এই সময়েও উঁচু টিলায় আনারস লাগিয়েছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তির জৈব সার, পোলট্রি শিল্পের বর্জ্য ও ওষুধ ব্যবহারে খেতে সারা বছর ফল পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। চৈত্রের গরমে রসাল ফল হিসেবে আনারস বাজারজাত শুরু হয়েছে।
প্রতি একর জমিতে পৌনে ২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার থেকে ৩৫ হাজারটি আনারস উৎপাদন সম্ভব। প্রতিটি আনারস ১০-১২ টাকা দরে বিক্রি করলেও ৩ লাখ টাকা বিক্রি হবে। পাইকারদের এই আনারস সংগ্রহের পর বাজারজাত করতে গাড়ি ভাড়া, টোল ও অন্যান্য খরচ মিলে প্রতিটিতে ব্যয় হয় ৪ টাকা। এ ছাড়া পচনশীল হওয়ায় গড়ে আনারস নষ্ট হয় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। পাহাড়ে কৃষকের কাছ থেকে ১০-১২ টাকা দরে কেনা আনারস সমতলে বিক্রি হয় ২৫ থেকে ৩০ টাকায়।
আরও পড়ুনঃ আধুনিক উপায়ে আনারস চাষের কৌশল (Pineapple Cultivation)
একজন আনারস চাষি বলেন , ‘আমি প্রায় ২৫ একর টিলায় আনারস চাষ করেছি। এর মধ্যে ১৮ থেকে ২০ একর জমিতে ফল এসেছে। এই এলাকায় আমার মতো আরও অন্তত ৫০ জন আনারস চাষে জড়িত। পাইকারেরা বাগান থেকে প্রতিটি আনারস ১০-১২ টাকায় কিনে নিয়ে যান।’
Share your comments