মহিলাদের স্বনির্ভর করে তোলার অর্থ তাদের আধ্যাত্মিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দৃঢ়তা প্রদান। মহিলারা তখনই প্রকৃত আত্মনির্ভর হবে যখন তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার পাবে। ২০০১ সালকে ভারত সরকার মহিলাদের ক্ষমতায়নের বর্ষ হিসেবে পরিগণিত করে। ভারতীয় সংবিধান জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মহিলাদের সমান অধিকার দিয়েছে। এর আগে সমাজে মহিলাদের অবস্থান খুবই সঙ্কটজনক অবস্থায় ছিল। বর্তমানে মহিলারা অনেক এগিয়ে এসেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের উজ্জ্বল উপস্থিতি তা সে রাজনীতি হোক বা গবেষণা, খেলাধূলাই হোক অথবা সেনাবাহিনি, কৃষিক্ষেত্র, চিকিৎসা, নৌবাহিনি, যুদ্ধবিমান সর্বত্র ও সর্বস্তরে তারা স্বসম্মানে সফলতার নজির গড়েছেন।
গ্রামীন মহিলাদের আর্থিক স্বাধীনতা ও স্বচ্ছলতা প্রদানের উদ্দেশ্যে ভারত সরকার স্বয়ম্ভর গোষ্ঠি (SHG) গঠন করে বিভিন্ন বেসরকারী ব্যাঙ্ক, কো অপারেটিভ ব্যাঙ্ক, গ্রামীন ব্যাঙ্ক, NABARD ও নানা NGO দের আর্থিক সহায়তায় বিভিন্ন উদ্যোগ গঠন করে রোজগার করে মহিলাদের অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটাতে সহায়তা প্রদান করে থাকে।
এমনই একটি মহিলা স্বয়ম্ভর গোষ্ঠি সুন্দরবনের সুন্দরিনী কোঅপারেটিভ যারা এবছর জাতীয় পুরষ্কার জিতে নিলেন গুজরাটের আনন্দে ভারতের শ্রেষ্ঠ দুগ্ধ উৎপাদক হিসেবে যাদের ব্র্যান্ডটির নাম ‘সুন্দরিনী ন্যাচরালস’।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে ঘরে ও বাইরে সমস্ত মহিলাদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।
- রুনা নাথ ([email protected])
Share your comments