আজ জলপাইগুড়ি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের ২২ তম সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইসরি কমিটির (scientific advisory committee) উদ্যোগে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান কেন্দ্রের সকল কর্মী ও সরকারি বিভিন্ন দফতরের আধিকারিক সহ বিভিন্ন সমাজ সেবা মূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিl এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কৃষক প্রযোজক সংস্থার (farmers Producer organizations) প্রতিনিধিগণ।
জলপাইগুড়ির কৃষি কেন্দ্র বরাবরই কৃষকদের কাছে বিজ্ঞান ভিত্তিক বিভিন্ন চাষের কৌশল, জমি-বীজ-সারের খুঁটিনাটি তথ্য দিয়ে এসেছে। সদ্য অনুষ্ঠিত হওয়া এই সভার মূল আলোচ্য বিষয় ছিল, বিগত বছরে জলপাইগুড়ির কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র কি কি কর্মসূচি নিয়েছিল তার বিবরণ সহ আগামী দিনে তারা কি কি কর্মসূচি নিতে পারে তার একটি সম্ভাব্য রূপরেখা তৈরি করা। এছাড়াও আগামী দিনে কীভাবে কৃষকদের কাছে খুব সহজেই পোঁছে যাওয়া যায় তারই আগাম পরিকল্পনা। এদিন আলোচনার শুরুতে কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের সিনিয়র ডাক্তার বিপ্লব দাস মহাশয় সমস্ত অতিথি দের এই সভায় স্বাগতম জানান! তিনি একে একে কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিভিন্ন বিষয়বস্তু বিশেষজ্ঞদের সামনে বিস্তারিত বলেন। এবং উপস্থিত প্রত্যেকের নিজস্ব ক্ষেত্র গুলি নিয়েও কিছু কিছু কথা বলতে অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুনঃ মৎস্যজীবীদের আধুনিক প্রযুক্তি শেখাতে কেন্দ্রীয় মৎস্য শিক্ষা সংস্থানের ‘অন্যরকম’ প্রয়াস
কিছুদিন আগেই কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্যোগে পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক মৎস্যচাষীদের স্বনির্ভর করা এবং তাঁদের আর্থসামাজিক উন্নয়ণের উদ্দেশ্যে কোচবিহার-১ ব্লকের জিরানপুরে তিনদিনের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। ওই দিন কেন্দ্রীয় মৎস্য শিক্ষা সংস্থানের দুই বিজ্ঞানী ডঃ গৌরাঙ্গ বিশ্বাস ও ডঃ দিলীপ কুমার সিংহ কি করে আধুনিক পদ্ধতিতে স্থানীয় ও দেশী মাছের চাষ করা যায় এবং দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের ক্ষতিকে অতিক্রম করে মাছচাষ করে কোচবিহারের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীরা আর্থসামাজিক উন্নয়ণ করতে পারেন সেই বিষয়ে নতুন দিক নির্দেশ করেন। এছাড়াও ওই কর্মশালায় উপস্থিত চাষীদেরকে জল ও মাটি পরীক্ষা করার কিউ ও প্রশিক্ষণ পুস্তিকা বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। সব শেষে বলা চলে কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের একাধিক কাজের প্রশিক্ষণের জন্য মুখীয়ে থাকে শিলিগুড়ির এলাকাবাসী।
Share your comments