গাঁজা চাষ শুনলেই সকলের মনে একাধিক প্রশ্ন। কেন আমাদের দেশে বৈধ নয় গাঁজা চাষ। চাষের অনুমতি যদি আইনসিদ্ধ হয় সেক্ষেত্রে দেশের কত শতাংশ কৃষক এই চাষের দিকে ঝুঁকবেন সেই নিয়ে রয়েছে নানান মতামত। এবার গাঁজার চাষ নিয়ে নড়ে চড়ে বসল হিমাচল সরকার। গাঁজার চাষ নিয়ে মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের আহ্বান দিলেন হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু। গাঁজার চাষে আইনরীতি নিয়ে হচ্ছে এই বৈঠক।
আজ এই বৈঠকে শাসক দল কংগ্রেস এবং প্রধান বিরোধী দল বিজেপি উপস্থিত ছিল। সমস্ত আইনি দিক বিচার বিবেচনা করে যদি সবুজ সুচক পাওয়া যায় তাহলে গাঁজা চাষে বৈধতা নিয়ে ভাববে হিমাচল সরকার। দীর্ঘদিন ধরেই হিমাচলে গাঁজা চাষের বৈধতা নিয়ে বহু আবেদন জানিয়েছে বিভিন্ন সাংগঠনিক দল। পাশাপাশি কুলুর কংগ্রেস বিধায়ক সুন্দর ঠাকুরও এই বিষয়ে শর্ত সাপেক্ষে গাঁজা চাষের ক্ষেত্রে আবেদন জমা করেছেন। এই বিষয়ে এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করা হবে বলে জানা হয়েছে। তবে শুধু হিমাচলপ্রদেশে নয় রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ এই রাজ্যেও মিলতে পারে অনুমতি।
আরও পড়ুনঃ বাড়ছে চাহিদা! এই জেলায় লক্ষ্মীলাভ করাচ্ছে আকন্দ চাষ
গাঁজা চাষে বৈধতা আনলে ড্রাগ মাফিয়াদের দাপট অনেকটাই কমবে বলে মনে করছে সরকার। এছাড়াও এই চাষের হাত ধরে গ্রামীণ অর্থনীতি অনেকটাই চাঙ্গা করা সম্ভব। গাঁজার বীজ এবং পাতা চিকিৎসার কাজেও লাগে। সেদিকও ব্যবহার করা হবে জানিয়েছে কমিটি। পাশাপাশি গাঁজা চাষের মাধ্যমে কর আদায় হবে বেশি সেদিকেও নজর দিচ্ছে কমিটি।
আরও পড়ুনঃ লক্ষ টাকা উপার্জন! ময়নাগুড়ির ড্রাগন চাষী অজিত সরকার
আমেরিকার বিভিন্ন অংশে, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে শর্তসাপেক্ষে গাঁজা চাষে বৈধতা রয়েছে। হিমাচলের মালানা অঞ্চলে গাঁজার চাষ সবচেয়ে বেশি হয়। এমনকি এই অঞ্চলে গাঁজার সুনাম রয়েছে পৃথিবী জুড়ে। তাই রাজনৈতিক মহল মনে করছেন শর্তসাপেক্ষে যদি এই চাষ করা যায় সেক্ষেত্রে আর্থিক দিক থেকেও অনেকটা উন্নতি হবে এবং আইনি নিয়ম থাকায় কমবে বাইরের মাফিয়াদের দাপট।
Share your comments