ইংরেজি বছরের প্রায় শেষ লগ্নে বন্ধ হল ডুয়ার্সের চা বাগান। নতুন বছর শুরুর আগেই অনিশ্চয়তায় পড়লেন বাগানের পাঁচশো শ্রমিক এবং তাঁদের পরিবার। প্রতিদিনের অভ্যাস মত সকালে চা বাগানে যান শ্রমিকরা। এবং দেখেন বাগানের গেটে লক আউটের নোটিশ ঝুলছে। পরিচালকদেরও তাঁরা বাগানে দেখতে পাননি। হঠাৎ করে নাগরাকাটার বামনডাঙা চা বাগানে নোটিশ ঝোলায় মাথায় হাত কর্মরত ১২০০ শ্রমিক ও তাদের পরিবারের।
মিডিয়ার রিপোর্টের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, বাগান কর্তৃপক্ষ বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে সোমবার রাতেই বামনডাঙ্গা ছেড়ে চলে যান। না জানিয়ে হঠাৎ বাগান বন্ধ করায় মালিক ও পরিচালকদের প্রতি ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে শ্রমিকদের মধ্যে। শ্রমিকরা দাবী করেছেন যে খুব তাড়াতাড়ি চা বাগান খোলা হোক। তবে এটা প্রথমবার না, এর আগেও বামনডাঙ্গা চা বাগানটি দীর্ঘ কয়েক বছর বন্ধ ছিল। খোলার পর ঠিকঠাকই চলছিল। তবে এবার বন্ধ হওয়ার পিছনে মালিকপক্ষ কর্মরত শ্রমিকদেরই দোষারোপ করেছে।
আরও পড়ুনঃ ইউটিউব দেখে কমলা চাষ! আয় দেখে ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি ছাড়লেন তরুণ
চা-বাগান বন্ধের নোটিশে বলা হয়েছে, বাগানের কাজ কর্মে শ্রমিকদের অকারণ হস্তক্ষেপ, কর্মসংস্কৃতির অভাব সহ মোট ৯ টি কারণকে তাঁরা তুলে ধরেছেন । বছরের শেষের দিকে বলা চলে শীতের মরশুমে বিভিন্ন জায়গার চা বাগান বন্ধের প্রবনতা আগেও দেখা গিয়েছিল মালিক পক্ষের। প্রতিবারই দেখা গিয়েছে হঠাৎ করে বাগান বন্ধের জন্য একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে বাগানে কর্মরত শ্রমিকদের। এবারের চিত্রটাও একই। তাই দ্রুত চা বাগান খোলার দাবিতে সরব হয়েছেন শ্রমিকরা।
আরও পড়ুনঃ এদেশে 'ইন্ডিয়ান মিলেট পার্ক' বানাবে ভারত
Share your comments