আবারও মূল্যবৃদ্ধি রান্নার গ্যাসের (LPG Cylinder)। মাস শুরু হতেই বাড়ল এলপিজি-র মূল্য। আন্তর্জাতিক হারে প্রত্যাবর্তনের সাথে সঙ্গতি রেখে, ইন্ডিয়ান অয়েলের ভর্তুকিহীন ১৪.২ কেজি ইন্ডেন সিলিন্ডারের মূল্য আজ থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। এলপিজি সিলিন্ডারগুলি ভারতের বাজার দরে বিক্রি হয়, তবে সরকার ভর্তুকিটি উপযুক্ত গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি স্থানান্তর (PM KISAN DEBT) করে। ভর্তুকিযুক্ত এলপিজি সিলিন্ডারের মূল্য পূর্বের চেয়ে ২৫ টাকা বেড়ে আজ থেকে দাম হয়েছে ৮২০ টাকা ৫০ পয়সা।
বর্তমানে, সরকার এক বছরে প্রতি পরিবারে ১৪.২ কিলোগ্রামের ১২ টি সিলিন্ডারের ভর্তুকি দেয়। গ্রাহককে অতিরিক্ত গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে হলে তা বাজার মূল্যেই কিনতে হবে। সরকার কর্তৃক প্রতি বছর ১২ টি সিলিন্ডারের কোটায় যে পরিমাণ ভর্তুকি সরবরাহ করা হয় তা প্রতি মাসে পরিবর্তিত হয়।
কার্যকর সিলিন্ডারের নয়া মূল্য (New price for cylinders effective from today)-
বিগত কয়েক মাস ধরে পুনরায় রান্নার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় নাজেহাল অবস্থা মধ্যবিত্তের। কলকাতায় ভর্তুকিহীন ডোমেস্টিক সিলিন্ডারের মূল্য ১ লা মার্চ থেকেই কার্যকর হল।
তবে এ মাসে গ্রাহকরা ১৪.২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডার নিলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ভর্তুকিবাবদ গ্রাহককে সরকার থেকে কত টাকা প্রেরণ করা হবে, তা নিয়ে সরকারি তৈল সংস্থাগুলির তরফ থেকে স্পষ্ট করে কিছু এখনও জানানো হয়নি। কলকাতায় ১৯ কিলো নন-ডোমেস্টিক সিলিন্ডারের মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে তা ১৬৮১ টাকা ৫০ পয়সা হয়েছে।
বিগত মাসগুলিতে সিলিন্ডারের মূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে অন্যান্য মাসের মত ১৪.২ কেজি ভর্তুকিহীন গ্যাস সিলিন্ডারের মূল্য বৃদ্ধির পরিমাণ এ মাসে কম হলেও ক্রমাগত এই মূল্য বৃদ্ধি মধ্যবিত্তের কপালে ফেলছে ভাঁজ।
বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বিগত বছরে প্রায় ৪০ শতাংশ হ্রাস পেলেও ভারতে গার্হস্থ্য রান্নার সিলিন্ডারের জন্য গ্রাহককে ২০ শতাংশ অতিরিক্ত অর্থ দিতে হচ্ছে। এর মধ্যে স্থানীয় পরিবহন খরচ সংযুক্ত হওয়ায় বহু গ্রাহকের ভর্তুকি বাবদ রাশি ক্রমশই কম আসছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।
সিলিন্ডারের মূল্য নির্ধারণ -
দেশে মুদ্রার এক্সচেঞ্জ রেটের হিসাব ও আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক দরের উপর নির্ভর করে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্দিষ্ট করা হয়। যেহেতু বিষয়টি আন্তর্জাতিক দামের ওপর নির্ভর করে , তাই বিভিন্ন সময়ে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম পরিবর্তিত হয়। তবে বর্তমানে সরকারের লক্ষ্য রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশেই গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানোর দিকে।