ফলসা শরবত বেরি বা ছারবেরি নামেও পরিচিত। এটি ভারতীয় জাতের একটি গাছ। এটিকে তিলাসিয়া পরিবারের গাছ বলে মনে করা হয়।তিলাসিয়া প্রজাতিতে মোট 150টি গাছ রয়েছে, তবে ফল খাওয়া হয় শুধুমাত্র ফলসা গাছের। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফলসার বাণিজ্যিক চাষ কৃষকদের জন্য খুবই লাভজনক প্রমাণিত হতে পারে।
কোথায় কৃষিকাজ করবেন?
এর গাছ একাকী জমিতেও জন্মানো যায়, তবে অধিক মুনাফা অর্জনের জন্য বিশেষজ্ঞরা আম, পেয়ারাসহ ফলসা চাষের পরামর্শ দেন। কাটিং ও গ্রাফটিং পদ্ধতিতে ফলসার বাণিজ্যিক চাষ করা হয়। গোবরকে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে ভালো পুষ্টি দেওয়া যায়।
খুব বেশি যত্নের প্রয়োজন নেই
ফলসা ক্ষেতে খুব বেশি রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয় না, তবে গাছের গুণমানের জন্য প্রতি বছর ছাঁটাই করা উচিত। চারা রোপণের প্রায় দেড় বছর পর অর্থাৎ আগামী বছরের মে-জুন থেকে বার্ষিক ফলন শুরু হয়।
এর 1200-1500 চারা এক একরে রোপণ করা যেতে পারে। এতে ৫০-৬০ কুইন্টাল ফলন পাওয়া যায়। ফলসা সরাসরি বাজারে বিক্রি করাও লাভজনক, তবে ফলসা সংক্রান্ত পণ্য তৈরিকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে চাষ করলে চাষিরা বাম্পার লাভ পেতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ লাল চন্দন কাঠের উপর আর একচেটিয়া আধিপত্য থাকবে না দক্ষিণ ভারতের! এই রাজ্যও চলছে চাষের প্রস্তুতি
বাজারে ফলসা ফল অনেক দামে বিক্রি হয়। কাঁচা ফলসার রং বেইজ লাল ও বেগুনি। রান্নার পর এর রং কালো হয়ে যায়। ঔষধিগুণে ভরপুর এই ফলটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস সাইট্রিক অ্যাসিড, অ্যামাইনো অ্যাসিড সহ ভিটামিন 'এ', 'বি' এবং 'সি' পাওয়া যায় যা আপনাকে সুস্থ রাখে। এছাড়া গরমে এর শরবত পান করলে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
Share your comments