শীতের মরশুমে একাধিক পরিযায়ী পাখিদের বাসস্থান হয়ে ওঠে উত্তরবঙ্গ। রংবেরঙের বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখির আনাগোনা শুরু হয়ে উত্তর বঙ্গের বিভিন্ন এলাকায়। এবারে হেমন্তের হাওয়া পড়তেই নানা পরিযায়ী পাখিরা ভিড় জমিয়েছে ফুলবাড়ি মহানন্দা ব্যারেজ সংলগ্ন জলাশয়ে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জলাশয়ের পাশাপাশি ফুলবাড়ীর মহানন্দা ব্যারেজ জলাশয় সকলের কাছেই পরিচিত। মূলত মঙ্গোলিয়া, তিব্বত, দক্ষিণ আফ্রিকা, সাইবেরিয়া সহ অন্যান্য দেশ থেকেও পাখিরা এই জলাশয়ে এসে ভিড় জমায়। তবে ওখানকার এলাকাবাসীরা মনে করছেন, শীত আরও বাড়লে পরিযায়ী পাখির সংখ্যাও বাড়বে। তাই এবারের শীতের মরশুমে একদিন ঘুরে আসতে পারেন পাখিদের অমরকানন।
মূলত বিভিন্ন প্রজাতির পাখিরা যেমন, রুডি শেলডাক, রিভার ল্যাপউইং সহ নানা ধরনের অতিথি পাখিরা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জলাশয়ে প্রতিবছর এসে থাকে। এবং বঙ্গে শীত কমতে থাকলেই তাঁরা আবার নিজ নিজ দেশে ফিরে যায়। এই বিষয়ে পরিবেশ প্রেমীরা জানিয়েছেন, শীতের সময় একাধিক পরিযায়ী পাখিরা উত্তর বঙ্গের বিভিন্ন জলাশয়ে আসে। এই পাখি গুলি মূলত ডিসেম্বর থেকে শুরু করে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এখানে থাকে। শীত আসা মানেই পাখিদের অমরকানন হয়ে ওঠে উত্তরবঙ্গ।
আরও পড়ুনঃ শীতের মরশুমে বাজারে উপচে পড়ছে ফুলকপি, দামে হতাশ কৃষক থেকে ব্যবসায়ী
ধীরে ধীরে শীত প্রবেশ করেছে রাজ্যে, বিভিন্ন জলাশয়ে পাখিদের আগমনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পর্যটকদের ভিড়। ফুলবাড়িতে তিস্তা ক্যানেলে ঝাঁকে ঝাঁকে বোরোলি মাছও উঠতে শুরু করেছে। আর এই মাছের স্বাদ নিতেই দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসে পর্যটকরা। এই সময় তিস্তা ক্যানেলের বোরোলি মাছ বিক্রি হয় ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা কেজি দরে। পর্যটক ও স্থানীয়দের ভিড়ে মেলার আকার নেয় এলাকা গুলি। পরিযায়ী পাখি দেখতে আসার পাশাপাশি ছবি তোলার টানে দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসে মানুষজন।
পরিযায়ী পাখিরা কেন আসেঃ
শীতের মরশুমে পরিযায়ী পাখিরা মূলত দুটি কারনে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জলাশয়ে আসে। প্রথমত- খাদ্যের সহজলভ্যতা জন্য। দ্বিতিয়ত- বংশবৃদ্ধির জন্য।
Share your comments