এবার অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর পেটে লাথি মেরে গর্ভস্থ ভ্রুণ নষ্ট করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।প্রোমোটিং সংক্রান্ত বিবাদের জেরে অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি।কাঠগড়ায় তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল। আক্রান্ত মহিলার পরিস্থিতি সংকটজনক। তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'হিংস্র হয়ে উঠছে তৃণমূল।'
গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। নারকেলডাঙার বাসিন্দা এই গৃহবধূ কিরণ দাস ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।প্রোমোটিং বিবাদের জেরেই অন্তঃসত্ত্বা এই গৃহবধূকে পেটে লাথি মারা হয়েছে। গতদিন পূর্ব কলকাতার নারকেলডাঙা এলাকায় ঘটেছে এই ঘটনাটি। গৃহবধূ কিরণ দেবীর সাথে তাঁর স্বামী দীপক দাসকেও ব্যাপক মারধর করা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। দীপক দাসেরও চিকিৎসা চলছে।
আরও পড়ুনঃ কি করে এলো কোটি কোটি টাকা ?এবার অনুব্রত কন্যাকে জেরা করতে চেয়ে নোটিশ সিবিআইয়ের
নারকেলডাঙার বাসিন্দা শিবশঙ্কর দাস ও তাঁর ছেলে দীপক দাস(অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর স্বামী) জানিয়েছেন, প্রোমোটিং সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য তাঁদের দেখা করতে ডেকেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দার ও বিধায়ক পরেশ পাল। কিন্তু তাঁরা কেউই যেতে রাজি হননি। এরপরই ঘটে তাণ্ডব। অভিযোগ প্রায় দুশোজন ছেলে এসে আচমকাই তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয়। বেধড়ক মারধর করা হয় দীপককে।
দীপকের দাবি, তাঁর ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি মেরেছে হামলাকারীরা যার জেরে তাঁর স্ত্রীর অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক। মারধর করা হয়েছে বাড়ির শিশুদেরও। তিনি আরও জানিয়েছেন, টাকাপয়সাও লুঠ করা হয়েছে। সব কিছু ভাঙচুর করে দিয়েছে হামলাকারীরা। গোটা ঘটনায় জন্য দীপক বাবু অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তৃণমূল বিধায়ক ও কাউন্সিলরের দিকে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ দিল্লি পৌঁছলেন মমতা মন্দ্যোপাধ্যায়,মোদীর সাথে হতে পারে একান্ত সাক্ষাৎকার
দিলীপ ঘোষ বলেন, ' একজন গর্ভবতী মহিলাকে গর্ভপাত করানো হয়েছে। বাচ্চা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। খালি বিজেপি করার অপরাধে অত্যাচার, দিনকে দিনকে বেড়েই যাচ্ছে। গ্রামে গঞ্জে আবার অত্যাচার শুরু হয়েছে। বড়বড় নেতারা হুমকি দিচ্ছে, ছাল ছাড়িয়ে নেবে , মেরে দেবে।বদলা নেবে। তাদের গুণ্ডারা আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। যতই ক্ষমতা চলে যাওয়ার ভয় আশছে, ততই হিংস্র হয়ে গিয়ে পশুর মতো অত্যাচার চালাচ্ছে তৃণমূল। '
গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে পরেশ পাল (Paresh Pal) বলেন, "এমএলএ-র পক্ষে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সব দেখা সম্ভব নয়। যিনি অভিযোগ জানিয়েছে, সেই ব্যক্তিকে আমি চিনিও না। যদি কেউ বাড়িতে হামলা চালিয়ে থাকে, তা হলে তাদের পুলিশ গ্রেপ্তার করুক।"
Share your comments