পুরুলিয়ার তরমুজের চাহিদা এখন তুঙ্গে। ৩০ বিঘা জমিতে প্রায় ১২ টন তরমুজ হয়েছে এবার । সেই তরমুজ এখন কলকাতা সহ রপ্তানি হবে বীরভূমের সাঁইথিয়া, হুগলির আরামবাগ, মেদিনীপুরের খড়গপুরে । এর ফলে চাষিদের প্রায় ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় হওয়ার সম্ভবনা তৈরি হয়েছে ।
পুরুলিয়ার জয়পুর ব্লকে ‘মাটির সৃষ্টি’-তে সবজি চাষ নজর কেড়েছে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। তার মধ্যে রয়েছে এই মুকুন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। ‘মাটির সৃষ্টি’তে আতমা প্রকল্পের অধীনে মিশ্র সবজি চাষ করছে ডিএসপি এগ্রিকালচারাল এন্ড এলাইড মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড।
আরও পড়ুনঃ World Earth Day 2022: জানেন বিশ্ব বসুন্ধরা দিবস ,কেন পালন করা হয়? এবারের থিম, জানুন বিস্তারিত
পঁয়ত্রিশ জন কৃষক মিলে একটি সমবায় তৈরি করে তরমুজ চাষ করেছেন। তাঁরা উদ্যানপালন বিভাগের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে যেমন কারিগরি পরামর্শ নিয়েছেন। তেমনই জয়পুর ব্লক তাদেরকে ধারাবাহিকভাবে সহায়তা করে গিয়েছে।
প্রতাপপুরে ২০ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন তারা। সেখান থেকে তরমুজ হয়েছে ৯ টন। অন্যদিকে ডুমুরডির ১০ বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ করে ফলেছে তিন টন। এদিনই ১২ টন তরমুজ সাঁইথিয়া, আরামবাগ, খড়গপুর, কলকাতায় তিন টন করে চারটে গাড়িতে যায়। তরমুজ চাষ করতে বিঘা প্রতি ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে খরচ হয়েছে । মোট খরচ হয় প্রায় দেড় লাখ টাকা। সাড়ে তিন লাখ টাকায় ১২টন তরমুজ বিক্রি করা হয়েছে। ফলে ২ লক্ষ টাকা তাদের লাভ হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বৈশাখ মাসে পাট চাষে কৃষকদের কি কি করণীয়
শিলিগুড়ি থেকে এই বীজ নিয়ে এসে চাষ করা হয়। উৎপাদিত তরমুজ কাটলেই একেবারে লাল টকটকে দেখা যাচ্ছে। তবে এই জন্য কম কাঠ-খড় পোড়াতে হয়নি তাদের। মার্চ থেকেই সেচে জোর দিয়েছেন তারা। প্রতাপপুর ও ডুমুরডিতে তরমুজ ছাড়াও তাদের আরও একাধিক সবজির চাষ চলছে।
Share your comments