কৃষিজাগরন ডেস্কঃ হিমঘরে থাকা আলু পচে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।তাই ক্ষতিপূরন চেয়ে বুধবার বর্ধমান কার্জন গেট চত্বরে বিক্ষোভ দেখানেন আলু চাষীরা।বর্ধমানে মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক সভা আগে আলু চাষীরা হিমঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
কৃষকদের অভিযোগ,হিমঘরের গাফিলতির জেরে ১,১৫,৬৬৩ প্যাকেট আলু নষ্ট হয় যায়।কিন্তু তা সত্বেও কোন রকম ক্ষতিপূরন দিতে রাজি নয় হিমঘর কতৃপক্ষ।তাই ক্ষতিপূরণের দাবিতে ওই সময়ে আন্দোলন শুরু করেন তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ ইংরেজি বলছেন কেন? এটা কি ইংল্যান্ড নাকি? কৃষকের মুখে ইংরেজি শুনে রেগে গেলেন নিতীশ কুমার
কিন্তু ক্ষতিপূরণ না দিয়ে হিমঘর কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। ৮৯০ টাকা প্রতি প্যাকেটে ক্ষতিপূরণ নির্ধারিত হলেও এখনও পর্যন্ত ২৫৯ টাকা করে পেয়েছেন কৃষকরা।
যদিও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দুই পক্ষ্যের সমস্যা মেটাতে একাধিকবার বৈঠকে বসে জেলা প্রশাসন।তা সত্বেও মলেনি সমাধান।এদিকে দশ মাস পেরিয়ে গেলেও ক্ষতিপূরনের টাকা না পেয়ে এ দিন রসুলপুরে অবরোধ করেন কৃষকরা।
আরও পড়ুনঃ কৃষি জমিতে চাষের জন্য লাল চন্দনের চারা তৈরি করেছে তামিলনাড়ু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী,বুধবার প্রায় ২৫টি গ্রামের কৃষকরা‘রসুলপুর কৃষি সংহতি মঞ্চ’ ব্যানারে জিটি রোড অবরোধ করেন।অবরোধের জেরে এলাকায় বিরাট জানজটের সৃষ্টি হয়।ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিড়াট পুলিশ বাহিনী। চাষি ও হিমঘর কর্তৃপক্ষের জন্য প্রায় ১৮০০ চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ক্ষতিপূরণ না পেলে হিমঘর খুলতে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্থানিয় চাষীরা। বিষয়টির উপর জেলা প্রশাসন নজর রাখছে।
Share your comments