কৃষিজাগরন ডেস্কঃ প্রতি বছরই পুজো বোনাসের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন চা শ্রমিকরা। পুজোর সময় এই বোনাসই হাসি ফোটায় হাজার হাজার চা শ্রমিকের মুখে। কিন্তু এবার তাঁদের জন্যই মন খারাপের খবর। সূত্রের খবর, এবার ৮.৩৩ শতাংশ পুজো বোনাস দেওয়া হতে পারে চা শ্রমিকদের । কিন্তু গতবার ১৪-১৫ শতাংশ পুজোর বোনাস পেয়েছিলেন চা বাগানের শ্রমিকরা। কেন আচমকা এভাবে একধাক্কায় কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে চা শ্রমিকদের বোনাস? উঠছে প্রশ্ন।
গত জুন মাসে জেলা সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চা শ্রমিকদের দৈনিক পারিশ্রমিক ১৫% বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন। গতবছর বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে আগে বেশ কয়েক দফা বৈঠকের পর চা শ্রমিকদের পারিশ্রমিক বাড়িয়ে ২০২ টাকা করেছিল রাজ্যের শ্রম দফতর।
আরও পড়ুনঃ ‘তৃণমূলের একটা দিকে পচে গিয়েছে’, অস্বস্তি বাড়ালেন প্রাক্তন আমলা
কিন্তু তাতেও হাঁসি ফোটেনি চা শ্রমিকদের মুখে। কারণ, অসমের শ্রমিকদের মজুরির নিরিখে এই ২০২ টাকা কম বলেই অভিযোগ করেছিলেন চা শ্রমীক-রা। সেকথা মাথায় রেখেই আলিপুরদুয়ারের সভায় গিয়ে ১৫% মজুরি বৃদ্ধির ঘোষণা করেছিলেন মমতা।
কিন্তু গত বছরের তুলনায় এবছর প্রায় ৭ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে চা শ্রমীকদের পূজোর বোনাস। কিন্তু কেন আচমকা এভাবে একধাক্কায় কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে চা শ্রমিকদের বোনাস?
আরও পড়ুনঃ লিস্ট তৈরি আছে! মেয়ো রোড থেকে সিংহনাদ মমতার
পুজো বোনাসের উপর হাজার হাজার চা শ্রমিকদের পুজোর আনন্দ নির্ভর করে। সেক্ষেত্রে এব্যাপারে চা বাগানের সমস্যা নিরসনে সরকার কতটা আন্তরিক, শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় কতটা উদ্যোগী সরকার ? এ বিষয়ে জানতে শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক কে ফোন করা হলে,তার অফিস থেকে জানানো হয়, “ ৮ শতাংশ বোনাস দেওয়া হবে এ বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, তবে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় সরকার সবসময় আন্তরিক ”
কৃষিজ বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, “ আমি এখন ওই দফতরে নেই, তাই কোনও মন্তব্য করব না ”।
ভারতে রেলের পর সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান ঘটে চা শিল্পে। আর সংগঠিত এই চা শিল্পে শ্রমিকদের মজুরি সবচেয়ে কম। বিশেষত আসাম ও পশ্চিমবঙ্গে চা শ্রমিকদের সমস্যা অত্যাধিক। ত্রিপাক্ষিক চুক্তির (মালিক,সরকার ও শ্রমিক সংগঠন) মাধ্যমেই চা বাগানে মজুরি ও বোনাস স্থির করা হয়।
Share your comments