পশ্চিমবঙ্গে সরকার কর্তৃক ধান সংগ্রহ কার্য শুরু হতে চলেছে আজ থেকে

রাজ্য এ বছর ৫২ লক্ষ টন ধান সংগ্রহের ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে ইতিমধ্যে ৩০ লাখ টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। এই মরসুমে রাজ্য ফসলের বেশি ফলনের দিকে মনোনিবেশ করেছে, কিন্তু বেশিরভাগ শ্রমিক মনগরেগা প্রকল্পগুলি কার্যকর করতে ব্যস্ত থাকায় শ্রমের অভাবে ফসল সংগ্রহে সমস্যা রয়েছে। সাথে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ফসল রফতানিও হ্রাস পাচ্ছে।

KJ Staff
KJ Staff

পশ্চিমবঙ্গে ১ লা মে থেকে সরকার ধান সংগ্রহ শুরু করতে চলেছে. সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এবারে রাজ্য থেকে ২২ লক্ষ টন ধান সংগ্রহ করা হবে। কোভিড -১৯-এর কারণে লকডাউনে এই সময়ে বাজারে চালের সরবরাহ কম অনেকটাই। তবে খরিফ মরসুমে ধানের ক্রয় স্থগিত থাকায় রবি (বোরো) এবং খরিফ (আমন) এর মিশ্রণে ন্যূনতম সহায়তা মূল্যের (এমএসপি) কুইন্টাল প্রতি ১,৮৫৫ টাকা মূল্যে ধান সংগ্রহ করা হবে।

রাজ্য এ বছর ৫২ লক্ষ টন ধান সংগ্রহের ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে ইতিমধ্যে ৩০ লাখ টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের খাদ্য ও সরবরাহ বিষয়ক মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়া মল্লিক এফ.ই. কে জানিয়েছেন, ‘মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে সরকার বাকী ২২ লক্ষ টন সংগ্রহ করা শুরু করবে এবং এর ফলে শীঘ্রই বাজারে চালের ঘাটতি হ্রাস পাবে’।

পশ্চিমবঙ্গ বছরে গড়ে ১৫ মিলিয়ন টন চাল উত্পাদন করে, যা দেশের মোট উত্পাদনের ১৫% -এরও বেশি। লকডাউনের সময়ে সরবরাহ কম থাকায় দাম প্রতি কেজি গড়ে ২-৩ টাকা বেড়েছে। জ্যোতিপ্রিয়া মল্লিক আরও জানিয়েছেন যে, সরকার ও চালকল মালিকরা উভয়ই হঠাৎ ক্রয় বন্ধ করে দেওয়ার কারণে কিছুদিনের জন্য সরবরাহের অভাব দেখা দিয়েছিল।

পশ্চিমবঙ্গে এক হাজারেরও বেশি চালকল রয়েছে এবং প্রায় আড়াইশো চালকলের মাধ্যমে সরকারী সংগ্রহ হয়। বাকি চালকলগুলি কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান সংগ্রহ করে খোলা বাজারে বিক্রি করে।

মিল মালিকরা, যারা নিজেরাই সংগ্রহ করেন, তারা সাধারণত সরকারী ক্রয়পর্ব শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করেন, কারণ পরে তারা এমএসপির তুলনায় অনেক কম দামে ধান কেনেন। মিড ডে মিল, শিশু উন্নয়ন কর্মসূচি, চা বাগান শ্রমিকদের জন্য রেশন, ঘূর্ণিঝড় আইলা আক্রান্ত অঞ্চলের জন্য রেশন এবং ইত্যাদির মতো অন্যান্য সরকারি প্রকল্পগুলি পূরণে সরকারী সংগ্রহ ব্যবহার করা হয়। তবে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ধানের রফতানিও হ্রাস পাচ্ছে।

কিছু চালকল মালিক সরাসরি ধান সংগ্রহ করে এবং এতে এমএসপি কৃষকদের দেওয়া হয় না। তারা খোলা বাজার থেকে অনেক কম দামে ধান কিনে তা সরকারের কাছে বিক্রি করে এবং সরকার নির্ধারিত উচ্চতর মূল্য পায়। চালকল মালিকদের একাংশের অভিযোগ, এটি সরকারের বাজারের ভারসাম্যহীনতা তৈরি করে, যার প্রতি সরকারের নজর দেওয়া উচিত।

কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ কুমার মজুমদার আগেই বলেছিলেন যে, পশ্চিমবঙ্গে ফসল বিপণন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ এক বছরেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও কেন্দ্র, ভারতের খাদ্য কর্পোরেশন (এফসিআই) এর মাধ্যমে, রাজ্য থেকে এক টনও ফসল সংগ্রহ করেনি।

পশ্চিমবঙ্গ যে ১৫ মিলিয়ন টন ধান উত্পাদন করে, তার মধ্যে ৩০% বোরো বা রবি। যদিও এই মরসুমে রাজ্য বেশি ফসল ফলনের দিকে মনোনিবেশ করেছে, কিন্তু শ্রমের অভাবে ফসল সংগ্রহে সমস্যা রয়েছে, বেশিরভাগ শ্রমিক মনগরেগা প্রকল্পগুলি কার্যকর করতে ব্যস্ত। পশ্চিমবঙ্গের কৃষিমন্ত্রী আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বোরো ফসল তোলার জন্য পর্যাপ্ত শ্রম পেতে মনগরেগার আওতায় ফসল তোলা যেতে পারে কিনা তা বিবেচনা করছে, পশ্চিমবঙ্গ।

তথ্যসূত্র - ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস

স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)

Published On: 01 May 2020, 01:44 AM English Summary: Rabi paddy procurement from May 1 by by government in West Bengal

Like this article?

Hey! I am KJ Staff. Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters