দু বছর পর আবার পুরনো সমারোহে পালিত হতে চলেছে রথযাত্রা। হিন্দুদের অন্যতম বড় উৎসব এই রথযাত্রা। তাই প্রতিবছর ভক্তদের নজর থাকে পুরীতে। এই একটি দিনই রথের উপর আসীন জগন্নাথ, বলরাম, শুভদ্রাকে চাক্ষুস দেখার সুযোগ পান ভক্তরা। রথের দড়ি একবার টানার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন গোটা দেশের মানুষ।
এই বছর পুরীতে সকলের সমাগমের অনুমতি ওডিশা প্রশাসন দিলেও করোনার বাড় বাড়ন্ত বাড়াচ্ছে সকলের উদ্বেগ। আগামী কয়েকদিন লাইম লাইটে থাকবে ওডিশা। তাই করোনার বাড়ার জন্য কোনও দায়ি নিতেই রাজি নয় প্রশাসন। ইতিমধ্যেই রাজ্যের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে কড়া নির্দেশনা। চোখ রাখা হবে প্রত্যেকটি দর্শনার্থীর ওপর। এই উৎসবে অংশগ্রহণকারী সমস্ত দর্শনার্থীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। রথযাত্রার আগের দিন থেকেই মন্দির সংলগ্ন এলাকায় স্যানিটাইজেশন করা হবে। পাশাপাশি কোনও ব্যক্তি যদি মাস্ক না পরেন তাহলে সেক্ষেত্রে কড়া ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক বিজয় কুমার মহাপাত্র জানিয়েছেন শ্রীমন্দির, গুণ্ডিচা মন্দির, এই জায়গাগুলিতে কোভিড সুরক্ষা আরও জোরদার করা হয়েছে। হেলথ ক্যাম্প বসানো হচ্ছে। বাস স্ট্যান্ডেও বসছে ক্যাম্প। করোনার যদি কোনও লক্ষন থাকে তাহলে সেই ব্যক্তিকে মন্দিরের উৎসবে অংশ গ্রহন না করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি টেলিভিশন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় গোটা অনুষ্ঠান দেখানো হবে।
আরও পড়ুনঃ বাড়িতেই কৃত্রিম মরুভূমি! মরু প্রাণী দুম্বা পালন করে লাখপতি মালদহের এই ব্যক্তি
রথযাত্রার গুরুত্ব
হিন্দুধর্ম অনুসারে, এই রথযাত্রা ও রথযাত্রার গুরুত্ব দেখতে শুধু ভারত থেকে নয়, বিভিন্ন দেশ থেকেও মানুষ আসেন। জগন্নাথ পুরীকে হিন্দুধর্মে মুক্তির দ্বারও বলা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে যে এই যাত্রায় অংশ নেয়, তার সমস্ত ঝামেলা এবং সমস্ত সমস্যা দূর হয়ে যায়।
রথ টানা নিয়ে রয়েছে নানা বিশ্বাস। কথিত আছে যে যে ব্যক্তি ভগবানের রথ টানেন তিনি 100টি যজ্ঞ করার ফল পান। এর সাথে যে ব্যক্তি এই যাত্রায় যোগ দেয় সে মোক্ষ লাভ করে।
টানা দু বছর পর এই বছর আবার আগের মতই এই বছর রথের উৎসব পালিত হবে পুরীতে। ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি তুঙ্গে। একাধিক ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন।
আরও পড়ুনঃ ড্রাগন চাষে সাফল্য
Share your comments