এ বছর এক সপ্তাহেরও বেশি দেরিতে বর্ষা আসছে। গোটা দেশে প্রাক্-বর্ষা বৃষ্টিও ২৩ শতাংশ কম হয়েছে। এ দিকে ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই মূল্যবৃদ্ধি ঊর্ধ্বমুখী। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামও গত মাসে ব্যারেল প্রতি (১ ব্যারেল = ১৫৯ লিটার) ৭৩ মার্কিন ডলার বা ৬২ ডলারের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। ফলে, পেট্রল-ডিজেলের দর ইতিমধ্যেই লিটার পিছু যথাক্রমে ৭৫ টাকা এবং ৬৮ টাকা ছুঁয়েছে। সব মিলিয়ে মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার ঋণনীতি ঘোষণায় সুদের হার অপরিবর্তিত রাখা অর্থনীতির বিচারে উচিত সিদ্ধান্ত হলেও, ওই দিন তৃতীয়বার সুদ কমানোর পথেই হাঁটতে পারেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। সুদ কমানোর পক্ষে সবচেয়ে বড় যুক্তি জানুয়ারি-মার্চ পর্বে অর্থনীতির বৃদ্ধির হার গত পাঁচ বছরের তলানিতে (৫.৮ শতাংশ) নেমে আসা।
মোদী সরকার দ্বিতীয়বার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরলেও অর্থনীতির বৃদ্ধির হার গত এক বছরে ঘুরে দাঁড়ায়নি --- ৮.১ শতাংশ থেকে দফায় দফায় কমতে কমতে গত জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে তা ৫.৮ শতাংশে নেমে এসেছে।
কৃষির পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা এবং কর্মসংস্থান তৈরি করাই হবে নতুন সরকারের প্রাথমিক অগ্রাধিকার। সেই কারণে, সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার বদলে তা তৃতীয়বার কমানোর পথেই হাঁটতে পারে শক্তিকান্ত দাসের নেতৃত্বাধীন ছয়-সদস্যের মানিটরি পলিসি কমিটি।
বৃহস্পতিবার সুদের হার অন্তত ০.২৫ শতাংশ পয়েন্ট কমানোর পাশাপাশি দেশের অর্থব্যবস্থায় নগদের জোগান বাড়ানোর পদক্ষেপও আরবিআই করতে পারে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞমহল।
তথ্যসূত্র: এই সময় পত্রিকা
রুনা নাথ([email protected])
Share your comments