গত আর্থিক বছরে গ্রেড -২ বা ২ নম্বর মানের ৬ লক্ষ ২০ হাজার বেল পাট বিদেশ থেকে দেশে আমদানি করতে হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও অসমে বর্তমানে তিন নম্বর মানের (গ্রড – থ্রি) পাট উৎপাদন হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বীজ বোনার সময় থেকে চারা বড় হয়ে গাছ পচানো পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে যদি সঠিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় তবে পাটের মান গ্রেড – থ্রি থেকে গ্রেড -২ তে উন্নীত হবে । আর এটা সম্ভব হলে বাইরে থেকে আর পাট আমদানি করতে হবে না। পাট চাষিরাও পাটের সঠিক দাম পাবেন।
জাতীয় পাট পর্ষদ থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী সম্প্রতি কেন্দ্রের কৃষি, বস্ত্র, বাণিজ্য সহ বিভিন্ন মন্ত্রকের সচিবরা অলোচনায় বসে পাট শিল্পের উন্নতির জন্য বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেছেন। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার সহ আরো কয়েকটি রাজ্যে পাটের মানোন্নয়নের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের ‘আইকেয়ার’ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি বছর কমপক্ষে ৫৫,০০০ হেক্টর জমিতে পরীক্ষামূলক ভাবে পাট চাষের সুপারিশ করেছে কেন্দ্রীয় সচিবগোষ্ঠী। এর জন্য ২০২১ – ২০২২ অবধি ধাপে ধাপে ৩৬ কোটি টাকা খরচ করবে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন আমন ধান কাটার পর জিরো টিলেজ পদ্ধতিতে ভুট্টা চাষে লাভ বেশী
এই নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, সরকারী ভাবে পরীক্ষিত উচ্চ মানের বীজ দেওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্র পাট ভাল করে জলে পচানোর জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক পদার্থ পাট চাষিদের মধ্যে বিলি করার ব্যবস্থা করা হবে।
পাট বিশেষজ্ঞদের মতে পশ্চিমবঙ্গে জল-কাদায় যেভাবে পাট পচানো হয় তাতে পাটতন্তুর মান বিশেষ ভালো হয় না। ‘আইকেয়ার’ প্রকল্পের মাধ্যমে চাষিরা যদি আধুনিক পদ্ধতি অনুসরন করে পাট চাষ ও পাট সংগ্রহ করেন তাহলে উন্নত মানের পাট তন্তু উৎপন্ন হবে, পাট চাষিরা পাটের ভালো দাম পাবেন, সর্বোপরি পাটশিল্পের উন্নতি সম্ভবপর হবে।
- রুনা নাথ (runa@krishijagran.com)
Share your comments