পূর্বঘাট পর্বতমালার সেশাচালাম পর্বতের জঙ্গলে শুধু মেলে এই কাঠের সন্ধান। গভীর জঙ্গলের মধ্যে নিজে নিজেই বাড়ছে এই গাছ। গাছের পেছনে রয়েছে হাজার হাজার চোরাকারবারিদের সংযোগ। কয়েক ট্রাক এই গাছের কাঠ অন্য দেশে পাঠাতে পারলেই কেল্লাফতে। কথা হচ্ছে লাল চন্দনের। সাদা চন্দনও ভীষণ দামি কাঠ সেখানে লাল চন্দন নিয়েতো কোনও কথাই হবে না। এই কাঠ নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। কীভাবে চাষ হয়, কত টাকা লাগে, সরকারি কি আইন রয়েছে ইত্যাদি।
এবার লাল চন্দন নিয়ে জঙ্গলমহলের বাসিন্দাদের সুখবর দিল বন দফতর। লাল মাটিতে এবার লাল চন্দন চাষের পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন প্রস্তুতি। এবার বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, বীরভূম, পুরুলিয়া এই চার জেলায় রক্ত চন্দনের চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছে বন দফতর। সুত্রের খবর এই চার জেলা জুড়ে ৪৩ হাজার চারা বসানো হবে। বন দফতর মনে করছে এই চার জেলার মাটি শুস্ক যে মাটি লাল চন্দন গাছের চাষের জন্য একদম যোগ্য।
আরও পড়ুনঃ লাল চন্দন: লাল চন্দন চাষে লাখ নয়, কোটি কোটি লাভ, জানুন কীভাবে বড় করবেন এই দুর্লভ গাছ
এই সময় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী বিষ্ণুপুর, হিড়বাঁধ ও মানবাজার এই চারটি স্থানে ১১ হাজার করে লাল চন্দনের চারা বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যদি এই চাষে সাফল্যের মুখ দেখা যায় তাহলে আগামী দিনে গোটা রাজ্য জুড়ে বড় পরিসরে চাষ হবে লাল চন্দনের। লাল চন্দন খুবই ব্যয় বহুল। আর এই কাঠের চাহিদা জাপান, চিন ইত্যাদি দেশে প্রচুর। মেলে মোটা টাকাও। তাই রাজ্যের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে এই চন্দন চাষের পন্থা নিচ্ছে বন দফতর। যদিও হিড়বাঁধ এলাকায় শ্বেত চন্দনের চাষ আগে থেকেই হয়।
আরও পড়ুন ঃ গাঁজা চাষে বৈধতা? বিধায়কদের নিয়ে বসল বিশেষ কমিটি
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ভারতে আবহাওয়ার সঙ্গে বঙ্গের কিছু জেলার আবহাওয়ার বিশেষ মিল রয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ৪ জেলায় বিশেষ প্রতিনিধি দল গিয়ে পরীক্ষা করে এসেছে। হয়েছে মাটির পরীক্ষাও। যদি এই চাষে বাংলায় সাফল্য পাওয়া যায় তাহলে বঙ্গের অর্থনীতিতে আসবে বিশেষ পরিবর্তন। যদিও সরাসরি এই কাঠ বাজারে বিক্রি করা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে থাকবে অনেক আইনি নীতি।
Share your comments