কঠোর পরিশ্রম ভাগ্যকেও হারাতে পারে
কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আপনি আপনার জীবনের বেশিরভাগ সমস্যার সমাধান করতে পারেন এবং এই ছেলেটি হল তার একটি আদর্শ উদাহরণ। একটি ফিলিপিনো কৃষকের ছেলে শুধুমাত্র হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রহণ হয়নি বরং সেখানে স্কলারশিপ পর্যন্ত পেয়েছে। আমাদের জীবনে কত বার এরকম ঘটে থাকে যে যদি আমাদের ভাগ্য খারাপ থাকে তবে আমরা কিছুই করতে পারি না এবং অসহায় বোধ করি। কিন্তু এই ছেলেটি প্রমাণ করে দিয়েছে যে জীবনে উচ্চ সাফল্য পেতে গেলে রুপোর চামচ নিয়ে জন্মাতে হয় না।
দরিদ্র পরিবারে জন্মালে সেটা মানসিক এবং শারীরিক উভয়দিক দিয়েই একটা চ্যালেঞ্জ। পারিবারিক দারিদ্রতা থাকা সত্ত্বেও, কৃষকের ছেলেটি প্রতিদিন নদী পার করে স্কুলে গিয়ে পড়া চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তার পিতা সবসময় তার যথাযথ শিক্ষালাভ করাতে চেয়েছিলেন। তার বাবার স্বপ্নপূরণ করার জন্য ছেলেটি কঠোর পরিশ্রম করে এবং যার ফলে তাকে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণ বৃত্তি প্রদান করা হয়।
ফিলিপিনো থেকে রমনিক এল. ব্লানকো প্রতিদিন নদী পার হত শুধুমাত্র স্কুলে যাওয়ার জন্য। সে তার স্কুলের বুদ্ধিদীপ্ত বাচ্চাদের মধ্যে একজন ছিল। তার শিক্ষা “Green Earth Heritage” নামক একটি চ্যারিটি সংস্থা দ্বারা সহায়িত হয়েছিল, যেটি কৃষকের ছেলেমেয়েদের সহায়তা করে থাকে। সংস্থাটি তাদের সাক্ষরতা এবং কম্পিউটার ক্লাস –এরও প্রদান করে। তার বুদ্ধিমত্তা এবং বিভিন্ন বিষয়ে হাই মার্কসের কারণে ছেলেটি চ্যারিটি সংস্থা থেকে আন্তর্জাতিক স্কুল মানিলা-তে পড়াশোনা করার জন্য বৃত্তি লাভ করে এবং সেখানে প্রতিটি বিষয়ে শ্রেষ্ঠতা লাভ করে।
শীঘ্রই রমনিক অনেক বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেমন; ডার্টমাউথ ইউনিভার্সিটি, ওয়েন্সলি ইউনিভার্সিটি এবং নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি অব আবুধাবি ইত্যাদি একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোযোগ আকর্ষণ করতে শুরু করে। কিন্তু ফিলিপিনো ছেলেটি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই পূর্ণ বৃত্তি গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
রমনিক এখন হার্ভার্ডে যোগদান করেছে এবং খুব ভাল পড়াশোনা করছে। 2017 সালে স্নাতকোত্তর সমাপ্তির পর, একবছরের জন্য বিভিন্ন দেশ-বিদেশ ঘোরার নেশায় বিশ্বভ্রমণে বেরিয়ে পড়ে। এমনকি হার্ভার্ডে থেকেও সে তার শিকড় ভুলে যায়নি। কৃষকের ছেলে এখনও মনেপ্রাণে কৃষকই রয়ে গেছে এবং তার বাবার চাষের মাঠে 1,500 টিরও বেশি গাছ লাগিয়েছে। রমনিকের গর্বিত বাবা-মা এই ধরনের মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার জন্য খুবই খুশি।
- অভিষেক চক্রবর্তী([email protected])
Share your comments