কৃষিজাগরন ডেস্কঃ ২২দিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকার পর, গত শুক্রবার থেকে ফের বাংলাদেশের বাজারে আসতে শুরু করেছে ইলিশ। এবার মা ইলিশ গতবারের চেয়ে ২ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি ডিম ছেড়েছে।
বাংলাদেশের প্রথা অনুযায়ী প্রতিবছর ২২ দিন মাছ ধরা বন্ধ রাখা হয়।কারন মৎস্য বিশেষজ্ঞদের মতে এই সময় ইলিশের ডিম সবচেয়ে পরিপুষ্ট থাকে। আবার এ সময় সবচেয়ে বেশি ডিম ছাড়ে মা ইলিশ। তাই এ সময় ইলিশ ধরা বন্ধ থাকে।
আরও পড়ুনঃ পরিত্যাক্ত জমি রয়েছে? চাষ করুন শ্বেত চন্দনের,কয়েক বছরেই হয়ে যাবেন কোটিপতি
তবে আগে শুধুমাত্র ১১ দিনের জন্যই মাছ ধরা বন্ধ রাখা হত।আশ্বিন মাসের পূর্ণিমার সময়।কিন্তু পরবর্তীকালে এর সঙ্গে যুক্ত হয় অমাবস্যা। এই ২১ থেকে ২২ দিন মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা থাকার ফলে গত দশ বছরে ভালো ফলন পাওয়া গিয়েছে।
মৎস্য গবেষকদের মতে, এবার ৪০ হাজার ২৭৬ কোটি জাটকা ইলিশ পরিবারে নতুন করে যুক্ত হয়েছে, যা গতবারের চেয়ে ২ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি।তবে এবার ৩০ শতাংশ বড় ইলিশ ডিম ছেড়েছে। এটা একটা ইতিবাচক দিক বলে মনে করছেন মৎস্য বিশেষজ্ঞরা ।
বাংলাদেশের রুপালি শষ্য হল ইলিশ।যার উৎপাদন প্রতি বছর বেড়ই চলেছে। মৎস্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, গত এক দশকে দেশে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে দুই লাখ মেট্রিক টনের বেশি।২০১১-১২ সালে দেশে ইলিশের উৎপাদন হয়েছিল ৩ লাখ ৪৭ হাজার মেট্রিক টন। আর সর্বশেষ ২০২০-২১ বছরে উৎপাদিত হয়েছে ৫ দশমিক ৬৫ লাখ মেট্রিক টন।
আরও পড়ুনঃ পুকুরে মাছ চাষ করবেন? শিখে নিন কীটনাশক প্রয়োগের পদ্ধতি
তবে এই পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যাচ্ছে যে জলের উজ্জ্বল শষ্যের ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া এই বিশেষ কর্মসূচিগুলো এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করছে ।
এ ছাড়া ইলিশের ডিম ছাড়ার হার অর্থাৎ প্রজননসফলতা বাড়ছে। মৌসুমের শেষে এই অক্টোবর মাসেই এ হার দেখা হয়। গত বছরের প্রজননসফলতার হার ছিল শতকরা ৫১ দশমিক ৭৬। আগের বছর এ হার ছিল শতকরা ৫১ দশমিক ২। এ বছর এ হার ৫২ শতাংশ।
Share your comments