
কুলতলি, পশ্চিমবঙ্গ – ২৬ এপ্রিল, ২০২৫ — ICAR-Central Inland Fisheries Research Institute (ICAR-CIFRI) সুন্দরবনের ১০০টি পরিবারকে বাড়ির পুকুরে টেকসই মাছ চাষের মাধ্যমে স্বনির্ভর করে তুলতে একটি মডেল ভিলেজ প্রকল্প শুরু করেছে। এই উদ্যোগ State Bank of India (SBI) এবং কুলতলি মিলন তীর্থ সোসাইটি-র সহযোগিতায় CSR (Corporate Social Responsibility) প্রকল্পের অংশ হিসেবে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
প্রকল্পের মূল দিক: সুন্দরবনে গ্রামীণ উন্নয়নে টেকসই মাছ চাষ
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বসন্তী ব্লকের হালদার পাড়া এলাকায় এই প্রকল্পের সূচনা কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল পরিবারভিত্তিক কম খরচে পুকুরভিত্তিক মিশ্র মাছ চাষ শুরু করে গ্রামীণ অর্থনীতি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

প্রকল্পের মূল কার্যক্রমগুলির মধ্যে ছিল:
- প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন
- উপকারভোগীদের সাথে সরাসরি মতবিনিময়
- প্রকল্প স্থলের উন্মোচন
- মাছের পোনা (১০ কেজি) ও খাদ্য (১২০ কেজি) বিতরণ
- উপকারভোগীদের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ
পুকুরে মাছ চাষের মাধ্যমে পরিবারে স্বনির্ভরতা
১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত, ICAR-CIFRI হল ভারতের অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে মাছ চাষ গবেষণার শীর্ষ প্রতিষ্ঠান। সংস্থাটি নারী মৎস্যচাষীদের ক্ষমতায়ন, প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ ও আয়ের সুযোগ তৈরি করে এসেছে বহুদিন ধরে।
অনুষ্ঠানে ICAR-CIFRI-র পরিচালক ড. বি. কে. দাস বলেন, "প্রতিটি পরিবার যেন মাছ চাষ থেকে অর্জিত আয়ের একটি অংশ সঞ্চয় করে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নেয়।"
SBI-র দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার বিবেকানন্দ সিংহ ড. দাসের কাজের প্রশংসা করে বলেন, "এই প্রকল্প সফল হলে আরও অনেক গ্রামে এটি রূপায়ণ করা সম্ভব হবে।"

দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
এই প্রকল্প শুধুমাত্র এককালীন সহায়তায় সীমাবদ্ধ নয়। উপকারভোগীদের আগামী ছয় মাস পর দ্বিতীয় দফায় মাছ ও খাদ্য দেওয়া হবে এবং:
- নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন
- প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ ও ফিডব্যাক
- এক বছর পর প্রগতির মূল্যায়ন করা হবে CIFRI দলের মাধ্যমে।
এই উদ্যোগ টেকসই পরিবেশ, খাদ্য নিরাপত্তা ও গ্রামীণ উন্নয়নের একটি সফল মডেল হিসাবে কাজ করবে যা অন্য অনুরূপ এলাকার জন্যও পথপ্রদর্শক হতে পারে।
Share your comments