কৃষকদের ধান বিক্রি করতে যেন কোন অসুবিধা না হয় তার জন্য় পশ্চিমবঙ্গ সরকার আরও অনেক স্থায়ী ক্রয় কেন্দ্র খোলার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। কৃষকরা যেন তাদের ফসলের সঠিক মুল্য পান এবং সঠিক সময়ে তাদের ফসল বিক্রি করতে পারেন তার জন্য পণ্য সরবরাহ নিগম সিদ্ধান্ত নিয়েছে নতুন বছর থেকে অতিরিক্ত ৭১ টি স্থায়ী ক্রয় কেন্দ্র চালু করা হবে । এই কেন্দ্রগুলি থেকে কৃষকদের থেকে সরাসরি ধান কেনা হবে ।
আরও পড়ুনঃ বছর শেষের মুখে ২৪-৩১ ডিসেম্বর বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক পরিষেবা, রইল বিস্তারিত
ইতিমধ্যে ৩৬ টি স্থায়ী কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। বাকি কেন্দ্র গুলি ১৫ই জানুয়ারির মধ্যে চালু করা হবে বলে জানা গেছে। এই স্থায়ী কেন্দ্রগুলি ছাড়াও গ্রামের কৃষি সমবায় সংস্থাগুলির মাধ্যমে অস্থায়ী শিবির খুলে ধান কেনার কাজ চালাবে । এছাড়াও গ্রামে গ্রামে গিয়ে চাষিদের থেকে ধান কিনবে এই স্থায়ী পণ্য সরবরাহ নিগম । তবে কোন এলাকায় অস্থায়ী শিবির খোলা হবে তা জেলা প্রশাসন এবং ব্লক আধিকারিকরা ঠিক করবেন।
নিগম সুত্রে খবর,যদি ধান কেনার চাপ বেড়ে যায় তাহলে শুধুমা্ত্র এই ৭১ টি কেন্দ্র ছাড়াও দ্রুত যাতে বিকল্প ব্যবস্থা করা যায়, সেই পরিকাঠামো তৈরি রাখা হচ্ছে।তাই বেশি সংখ্যক কৃষক ধান কিনতে এলে আরও ১৫০টি কেন্দ্র চালানো হবে বলেও প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে। এতে কৃষকদের ভিড় সামলাতে সুবিধা হবে।এতে কৃষকদের ভিড় সামলাতে সুবিধা হবে। চাষিদের অপেক্ষার সময় ও হয়রানি কম হবে। কেন্দ্রগুলিতে ধান বিক্রি করার আরও সুবিধা হল, এখানে প্রতি কুইন্টালে নির্ধারিত ১৯৪০ টাকার সঙ্গে ২০ টাকা অতিরিক্ত বোনাস পাবেন কৃষকরা। নিগম এখনও পর্যন্ত ৭০ হাজার টন ধান কিনেছে বলে সূত্রের খবর। নিগমের ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে ১২ লক্ষ টন। কিন্তু এখন সম্ভব হলে তার থেকে বেশি কিনতে চাইছে নিগম।
আরও পড়ুনঃ কৃষিকাজে এবার ড্রোন ! লাভবান হবেন কৃষকরা ,বলছে কেন্দ্রীয় সরকার
এ বারই প্রথম নিগম এত সংখ্যক স্থায়ী কেন্দ্র গড়ে কৃষকদের থেকে ধান কিনছে সরকার। এতদিন খাদ্য দফতরের অধীনে ধান কেনা চলত। নতুন এই সব পদ্ধতিতে ধান কেনায় ফড়েদের দূরে সরিয়ে প্রকৃত চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনার ব্যাপারে বিশেষ নজরদারি চালানো যাচ্ছে। নিগমের আধিকারিকরা ক্রয় কেন্দ্রে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন। ফড়েদের মাধ্যমে ধান বিক্রির চেষ্টা হলে কড়া ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Share your comments