কৃষিজাগরন ডেস্কঃ তুলসীমালা ও চিনিগুঁড়া ধান চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন বাংলাদেশের কৃষকরা।সদ্য ধান মাড়ায়ের পর বাজারে উঠতে শুরু করেছে সুগন্ধি ধান।উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় এবং ভালো দাম পাওয়ায় মুখে হাঁসি ফুটেছে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার কৃষকদের মুখে।
সুত্রের খবর, শেরপুর জেলার তুলসীমালা ও চিনিগুঁড়া চাল বাংলাদেশে বিখ্যাত। তুলসীমালা ও চিনিগুঁড়া চাল সুগন্ধি, সরু ও সুস্বাদু। এই চালে পোলাও, বিরিয়ানি, পায়েস, খিচুড়ি, পিঠাসহ অন্যান্য খাবার তৈরি করা হয়।
আরও পড়ুনঃ চায়ের উৎপাদন কমল ৪ শতাংশেরও বেশী,মুজুরি কমার আশঙ্কা কৃষকদের
মিডিয়া রির্পোট অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে উপজেলায় মোট আট হাজার হেক্টর জমিতে তুলসীমালা ও চিনিগুঁড়া ধানের চাষ করা হয়েছে। উপজেলায় কলসপাড়, যোগানিয়া, বাঘবেড় ও মরিচপুরান ইউনিয়নে এ সুগন্ধি ধানের আবাদ বেশি হয়ে থাকে। জমিতে পোকামাকড়ের আক্রমণ না থাকায় ও আবহাওয়া ভালো থাকায় অল্প খরচেই কৃষকেরা ফলন ঘরে তুলতে পেরেছেন। এক একর জমিতে এ সুগন্ধি ধান চাষ করতে খরচ পড়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। আর ধান পাওয়া যায় ৩৫ থেকে ৪০ মণ। সে হিসাবে কৃষকের লাভ থাকে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা।
এক কৃষকের দাবী,তিনি দুই একর জমিতে তুলসীমালা ধানের আবাদ করেছিলেন। ধান লাগানো থেকে কাটা পর্যন্ত একরপ্রতি তাঁর খরচ হয়েছে ১৮ হাজার টাকা। প্রতি একরে তিনি ধান পেয়েছেন ৪০ মণ। বাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি করেছেন ২ হাজার ২০০ টাকা। তিনি বলেন, ‘বাজারে এ ধানের চাহিদা অনেক বেশি রয়েছে। কৃষকেরা দামও ভালো পাচ্ছেন। এতে আমরা খুশি।’
আরও পড়ুনঃ পরিবেশ রক্ষায় এই তিনটি গাছের চাষ করুন, হবেন কোটিপতি
নালিতাবাড়ী বাজারের সুগন্ধি ধানের আড়তদার মেসার্স খালেদা এন্টারপ্রাইজের মালিক আবদুল বাতেন বাংলাদেশের এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে তুলসীমালা ও চিনিগুঁড়া ধান বাজারে উঠতে শুরু করেছে। তুলসীমালা ২ হাজার ২০০ ও চিনিগুঁড়া ১ হাজার ৯০০ টাকা মণ হিসাবে বিক্রি হচ্ছে। এই সুগন্ধি ধানের বাজারে চাহিদা থাকায় কৃষকেরাও ভালো দাম পাচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আলমগীর বাংলাদেশের এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সুগন্ধি ধান তুলসীমালা ও চিনিগুঁড়া চালের দেশজুড়ে খ্যাতি রয়েছে।
Share your comments