আন্তর্জাতিক বাজরা বর্ষের সূচনা হল রোমের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সদর দপ্তরে

আন্তর্জাতিক বাজরা বর্ষের সূচনা উপলক্ষে ইতালির রোমে খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রেরিত বার্তাটি পড়ে শোনান কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষককল্যাণ দপ্তরের

KJ Staff
KJ Staff
সংগৃহীত।

কৃষিজাগরন ডেস্কঃ আন্তর্জাতিক বাজরা বর্ষের সূচনা উপলক্ষে ইতালির রোমে খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রেরিত বার্তাটি পড়ে শোনান কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষককল্যাণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শ্রীমতী শোভা করন্দলাজে। ২০২৩ বছরটিকে ‘আন্তর্জাতিক বাজরা বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করার জন্য রাষ্ট্রসঙ্ঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থাকে তাঁর বার্তায় অভিনন্দিত করেছেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন, বাজরা হল এমনই একটি শস্য যা কৃষক, ক্রেতা সাধারণ এবং জলবায়ুর পক্ষেও বিশেষভাবে উপযোগী। শ্রী মোদী বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা এবং নীতিগত উদ্যোগ গ্রহণের মধ্য দিয়ে বাজরা উৎপাদনকে লাভজনক করে তোলা সম্ভব। নিত্যদিনের খাদ্যাভ্যাসে বাজরাকে যোগ করা হলে তা মানুষের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি রক্ষার কাজেও সহায়ক হবে বলে তিনি তাঁর বার্তায় উল্লেখ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাজরা উৎপাদনের এক গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। অতি প্রাচীনকাল থেকেই যে সমস্ত শস্য উৎপাদিত হয়ে আসছে, বাজরা হল তার অন্যতম। অতীতে এক সময় এটি ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান। বর্তমানে আমাদের কাজ হবে ভবিষ্যতের খাদ্য তালিকায় এটি সংযোজনের ব্যবস্থা করা।

শ্রী মোদী বলেন, বিশ্বে অতিমারীর ঘটনা কালেভদ্রে ঘটে থাকে। কিন্তু তাতে এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখা কতটা জরুরি। কারণ, জলবায়ু পরিবর্তনও খাদ্যের যোগানকে ব্যাহত করতে পারে।

আরও পড়ুনঃ বাংলা ফসলবীমার তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি,কোথাও ‘২২’ আবার কোথাও ‘২৩’,ধন্দে কৃষকরা

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে বাজরা উৎপাদনের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী যে আন্দোলন গড়ে উঠতে চলেছে তা নিঃসন্দেহে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ কারণ, এই শস্যটি উৎপাদন করার কাজ যেমন সহজ, তেমনই তা জলবায়ু সহনশীল এবং খরা প্রতিরোধী। বাজরা হল এমনই একটি খাদ্যশস্য যা মানুষের শরীরে সুষম পুষ্টিবিধান করতে পারে। শুধু তাই নয়, দেশের কৃষকদের পক্ষেও তা লাভজনক হয়ে উঠতে পারে কারণ, বাজরা উৎপাদনে জলের প্রয়োজন পড়ে খুবই সামান্য এবং প্রাকৃতিক কৃষি পদ্ধতির সঙ্গে তা সামঞ্জস্যপূর্ণ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি উৎপাদনের ক্ষেত্রে এবং আমাদের খাওয়ার টেবিলে বৈচিত্র্য আনতে বাজরার কোনও জুড়ি নেই। বাজরাকে জনপ্রিয় করে তুলতে যে অভিযান শুরু হয়েছে তা সকলের মধ্যে সচেতনতার প্রসার ঘটাবে বলে প্রধানমন্ত্রী মনে করেন।

পরিশেষে, প্রধানমন্ত্রী এই মর্মে আশা ব্যক্ত করেন যে ‘আন্তর্জাতিক বাজরা বর্ষ, ২০২৩’ এক সুরক্ষিত, নিরন্তর ও সুস্থ ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এক জন-আন্দোলনের জন্ম দেবে।

আরও পড়ুনঃ আমাদের উপরাষ্ট্রপতি জওয়ান এবং কৃষকদের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে যুক্তঃ প্রধানমন্ত্রী

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে ২০২৩ বছরটি ‘আন্তর্জাতিক বাজরা বর্ষ’ রূপে উদযাপনের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর দৃষ্টিভঙ্গি এবং উদ্যোগকে অনুসরণ করে রাষ্ট্রসঙ্ঘের পক্ষ থেকে ‘আন্তর্জাতিক বাজরা বর্ষ’ উদযাপনের প্রস্তাবে সম্মতি দেওয়া হয়।

কেন্দ্রীয় সরকার ২০২৩ বছরটিকে ‘আন্তর্জাতিক বাজরা বর্ষ’ হিসেবে উদযাপনের ক্ষেত্রে যে লক্ষ্য স্থির করেছে তাতে দেশের বাজরা উৎপাদন, তার রন্ধন প্রণালী এবং এ থেকে উৎপাদিত উপযুক্ত মূল্যমান সংযোজিত খাদ্য সম্ভারকে জনপ্রিয় করে তোলার প্রচেষ্টা চালানো হবে।

Published On: 09 December 2022, 12:19 PM English Summary: The International Millet Year was launched at the headquarters of the Food and Agriculture Organization in Rome

Like this article?

Hey! I am KJ Staff . Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters