একদিকে যেমন লেবুর দাম আকাশ ছোঁয়া, অন্যদিকে পেঁয়াজের দরপতন কৃষকদের কাঁদাচ্ছে। হ্যাঁ, গত কয়েক মাস ধরে পেঁয়াজের দরপতন কৃষকদের জন্য সমস্যা তৈরি করছে। এমন পরিস্থিতিতে কৃষকরা কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন।
চাষিরা বলছেন, পেঁয়াজ ঠিকমতো মজুদ করার মতো সুবিধা না থাকায় ফসল বেশিক্ষণ রাখলে ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে বাজারে যে দাম চলছে, সেই দামেই পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে।
পেঁয়াজের দাম কত কমেছে?
আমরা যদি মহারাষ্ট্রের কথা বলি, তাহলে গত দুই মাসে আগে পেঁয়াজের দাম 200 থেকে 900 টাকা পর্যন্ত চলছিল, কিন্তু হঠাৎ করেই পেঁয়াজের দাম কমেছে, যা এখন 240 টাকা থেকে নেমে এসেছে। প্রতি কুইন্টাল 100 টাকা। সে অনুযায়ী বাজারে পৌঁছেছে।
পেঁয়াজের দরপতনের কারণে কিছু কৃষক মাঠেই ফসল নষ্ট করে দিচ্ছেন। কৃষকরা কম দামে তাদের ফসল বিক্রি করার চেয়ে এই বিকল্পটি ভাল খুঁজে পাচ্ছেন। কৃষকরা বলছেন, তারা তাদের ফসলের দামও পাচ্ছেন না। এমতাবস্থায় তারা এ ছাড়া অন্য কোনো উপায় বুঝতে পারছে না।
আরও পড়ুনঃ সার ব্যয়বহুল, ডিজেল ব্যয়বহুল, তাই চাষাবাদ করা অসম্ভব
কৃষকদের জন্য পরামর্শ
কৃষকদের সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, তারা যেন তাদের ফসল যন্ত্রাংশে রেখে বাজারে বিক্রি করেন, সেই সাথে যাদের ফসল সংরক্ষণের উপযুক্ত ব্যবস্থা আছে তারা যেন ফসল মজুদ করে রাখেন , যাতে দাম বাড়লে বেশি দামে বিক্রি করা যায়।
পেঁয়াজের দরপতন কৃষকদের সমস্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে, তাই এখন প্রশ্ন উঠছে সরকার কীভাবে কৃষকদের এই অবস্থা থেকে বের করে আনবে? কৃষকরা কি এখন ফসল থেকে লাভবান হতে পারবে?
আরও পড়ুনঃ বিজনেস আইডিয়া 2022: ঘরে বসে পেঁয়াজের পেস্ট বানিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করুন, সম্পূর্ণ তথ্য পড়ুন
Share your comments